সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পটুয়াখালী জেলাধীন গলাচিপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ব্রয়লার বিস্ফোরণে কারখানায় আগুনের ঘটনায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ জনে শ্যামনগর থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ২৪শের ছাত্র-জনতা ছাড়া অন্য কারো প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা নেই, উপদেষ্টা ফওজুল কবীর খান চরের হোগলা পাতার দড়িতে স্বপ্ন বোনেন নারীরা মিঠামইন হাওরে ৫০ একর বোরো জমিতে সমালয় চাষাবাদ অষ্টগ্রামে পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাচনে সভাপতি জাকির হোসেন মুকুল ও সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ঔষধ প্রশাসনের মতবিনিময় সভা বিজয় দিবসে শহীদ স্মৃতি ফলকে চরফ্যাশন বিএনপির শ্রদ্ধা ও র্্যালি জামায়াতে ইসলামী নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৪ইং (মহান বিজয় দিবস) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

আগামী ৫ বছরের জন্য খাদেম হয়ে খেদমত করতে চান নূর মোহাম্মদ

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৪
  • ৭৮ বার পঠিত

সরকার আব্দুর রাজ্জাক,বকশীগঞ্জ।

জামালপুর জেলার সর্ব উত্তরের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ দেওয়ানগঞ্জ ও বকশিগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত ১৩৮ জামালপুর-১ সংসদীয় আসন । দুই উপজেলা ও দুইটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ আসনে মোট ভোটের সংখ্যা ৪ লাখ ১ হাজার ৪শ’ ৬৮জন। সাত জানুয়ারি ১২৭ টি ভোট কেন্দ্রে ভোটাররা তাদের ভোট দিবেন।

এই আসন বরাবরই আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাবেক তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ। বয়স বিবেচনায় এবার তিনি মনোনয়ন পায়নি। আওয়ামী লীগ মনোনিত এবার নৌকার প্রার্থী হয়েছেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ বকশিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নূর মোহাম্মদ। তিনিসহ এ আসনে জাতীয় পার্টির বকশিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এস এম আবু সায়েম, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী গোলাম মোস্তফা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।

নৌকার প্রার্থী নূর মোহাম্মদ অনেকদিন আগে থেকেই নিজ নির্বাচনী এলাকায় নিজস্ব তহবিল থেকে দলের অসহায় নেতা-কর্মীদের আর্থিক সহযোগিতাসহ অসহায় লোকজনদের বিভিন্ন সময় সাহায্যে সহযোগিতা করায় জনদরদী ও দানশীল ব্যক্তিত্ব হিসাবে বেশ পরিচিত লাভ করেছেন।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নূর মোহাম্মদ ছাড়া অন্য প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা নেই। তৃণমূল বিএনপির পোস্টারও নজরে পড়ে না। লাঙ্গল গামছা গা-ছাড়া ভাব নিয়ে চলছে। এ আসনে কোনো শক্তিশালী প্রার্থী না থাকায় নূর মোহাম্মদ টেনশন মুক্ত। তবে ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য তিনি দেওয়ানগঞ্জ বকশিগঞ্জের সর্বত্র সাবেক তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও ভোটার সমর্থক নিয়ে পথসভা, উঠান বৈঠক, গণসংযোগ ও জনসমাবেশ করে যাচ্ছেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি জনসভায় বলছেন, ‘আগামী ৫ বছরের জন্য আপনাদের খাদেম হয়ে খেদমত চাই’। সে লক্ষে আগামী সাত জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরী করার জন্য ভোট কেন্দ্রে সকলের উপস্থিতির আহবান জানিয়ে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী জননেতা নুর মোহাম্মদ।

তাং- ০৪-০১-২৪ ইং

Facebook Comments Box
এই জাতীয় আরও খবর

ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ আজ ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশাল ট্র্যজেডি দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে নরসিংদীর ঘোড়াশালে আটিয়াগাঁও গ্রামে একই বাড়িতে শিশুসহ ১৮ নর-নারীকে হত্যা করা হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় গ্রামের সকল ঘর-বাড়ি। নির্মম হত্যাযজ্ঞে গ্রামের শিশুসহ প্রায় ২৫ থেকে ৩০জন নারী পুরুষকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানীরা। এই দিনটি আসলে এলাকার মানুষ আজও আৎকে উঠে সেই ভয়াবহ দিনটিকে স্মরণ করে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোন সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের ৯ দিন পূর্বে দেশজুড়ে যখন কোণঠাসা পশ্চিমা হানাদার বাহিনী। ঠিক সেই মুহূর্তে ঘোড়াশালে কয়েকটি খণ্ডযুদ্ধ হয় পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিকামী বাঙালীর। বিজয়ের কাছাকাছি সময়ে পাকিস্তানীরা ফিরে যাওয়ার সময় ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশালের আটিয়াগাঁও গ্রামে প্রবেশ করে। গ্রামে প্রবেশ করেই পাকিস্তানিরা আবুল কাসেমের বাড়িতে হত্যাকাণ্ড চালায়। এসময় বাড়িতে থাকা ৪ মাসের শিশু আয়শাসহ হত্যা করা হয় মোকছেদ আলী, মালাবক্স, শাহাজাহান, রহম আলী, আঃ হেকিম, হযরত আলী, আম্বিয়া খাতুন, মজিদা, শাহাজউদ্দিন, নেহাজউদ্দিন ও নেজু সহ প্রায় ১৮ নর-নারীকে। জ্বালিয়ে দেয়া হয় বাড়িঘর। এভাবে শুধুমাত্র আটিয়াগাঁও গ্রামেই ২৫ থেকে ৩০ নারী-পুরুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গুলিতে আহত হয় আরো প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন। হত্যাযজ্ঞের পরের দিনে তাদের অনেককেই গণকবর হিসেবে মাটি দেয়া হয়। সেই গণকবরগুলো আজ অরক্ষিত ঝোপঝাড়ে পরিণত। সরকারের পক্ষ থেকে নেই কোন উদ্যোগ। শহীদ পরিবারের খাতায়ও তাদের নাম আছে কিনা কেউ জানে না। যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সহায়তায় শহীদের প্রতি পরিবারের জন্য দেয়া দুই হাজার করে টাকা দেয়া ছাড়া তাদের ভাগ্যে কিছুই জোটেনি । সরকারের পক্ষ থেকে আটিয়াগাঁও এলাকার শহীদ হযরত আলীর ছেলে মো: হাবিবুল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনীরা আমার বাবা, দাদী ও ফফুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে মা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়ে আমাদের নি:স্ব করে দেয়া হয়েছিল। আমাদের চলার মতো তেমন কিছুই ছিলনা। আশপাশের গ্রামের লোকজন আমাদের চলার পথে সহায়তা করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার আজ ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও কেউ আমাদের খবর নেয়নি।’  এছাড়া শহীদ পরিবারের তালিকায় তাদের নাম আছে কিনা তাও জানেনা তারা।  একই এলাকার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্তার বাবুল জানান, পাক বাহিনীরা এই এলাকায় প্রবেশ করে প্রথমেই আমাদের ঘরে আগুন দেয়। এসময় বাড়িতে যাকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যরা ৪ মাসের শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তবে কয়েকজন বাড়ির পাশে গর্ত করে তাতে লুকিয়ে থেকে কোনক্রমে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থেকে রক্ষা পায়।   আরেক প্রত্যক্ষদর্শী রাহাতুন বেগম জানান, তখন অগ্রহায়ন মাস বাড়ির পাশেই ধানের কাজ করছিলেন। এমন সময় পাক বাহিনীর সদস্যরা এসে বাড়িঘরে আগুন দেয়। আর গুলি করে হত্যা করে যাকে সামনে পায়। পরে নিহতদের গণকবর দেয়া হয়। এখানে এখন ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে। এলাকার শহীদদের গণকবরস্থানে বধ্যভূমি নির্মাণের পাশাপাশি পরিবারগুলোর সহায়তায় সরকারকে পাশে দাড়ানোর দাবি জানান স্থানীয় ঘোড়াশাল পৌরসভা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সাবেক কমান্ডার ও সাবেক স্থানীয় কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক ভূইয়া। ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডির কথা উল্লেখ করে শহীদ পরিবারেরগুলোর স্মৃতি রক্ষার্থে একটি বধ্যভূমি নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান এলাকাবাসী। বিজয়ের ৫৩ বছর পেরিয়ে আজ এলাকাবাসীর দাবি হত্যাযজ্ঞে নিহত শহীদদের তালিকা প্রনয়ন, গণকবর তৈরী করে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ মর্যাদা দেয়া অরবিন্দ রায় ০১৯১৮৭৬৭৬৫৫