মোঃ হুমায়ুন কবির
উপজেলা প্রতিনিধি, গলাচিপা।
আজ ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। দিনটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৭৫ সালের এই দিনে আধিপত্যবাদী চক্রের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয়ে সিপাহি-জনতা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন।
এর মধ্য দিয়েই তৎকালীন সেনাপ্রধান, মহান স্বাধীনতার ঘোষক এবং বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি) এর প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান (বীরউত্তম) কে বন্দী জীবন থেকে মুক্ত করে দেশ পরিচালনার গুরুদায়িত্ব তুলে দেয়া হয়। তিনি ছিলেন এই ঐতিহাসিক বিপ্লবের মহানায়ক। বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। সেদিন সিপাহি-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে আসে।
তাদের সচেতনতা ও দেশপ্রেম সেদিন দেশকে ভয়াবহ এক অনিশ্চয়তা থেকে রক্ষা করে। তাদের ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমেই রক্ষা পায় সদ্য অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আধিপত্যবাদ, একনায়কতন্ত্র, একদলীয় শাসন, জনজীবনের বিশৃঙ্খলাসহ তৎকালীন বিরাজমান নৈরাজ্যের অবসান ঘটে এবং মেজর জিয়াউর রহমান ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হন। যা দেশের তৎকালীন রাজনীতির গতিধারা পাল্টে দিয়ে দেশ ও জাতিকে এক নতুন পরিচয়ে অভিষিক্ত করে। এই দিনটিকে বিএনপি শাসনামলে জাতীয় দিবস হিসেবে পালিত হলেও সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সরকার দিবসটিকে বাতিল করে দেয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম রহমান
ঠিকানা : গুলজান সিটি,লবনচরা,খুলনা