সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পটুয়াখালী জেলাধীন গলাচিপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ব্রয়লার বিস্ফোরণে কারখানায় আগুনের ঘটনায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ জনে শ্যামনগর থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ২৪শের ছাত্র-জনতা ছাড়া অন্য কারো প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা নেই, উপদেষ্টা ফওজুল কবীর খান চরের হোগলা পাতার দড়িতে স্বপ্ন বোনেন নারীরা মিঠামইন হাওরে ৫০ একর বোরো জমিতে সমালয় চাষাবাদ অষ্টগ্রামে পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাচনে সভাপতি জাকির হোসেন মুকুল ও সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ঔষধ প্রশাসনের মতবিনিময় সভা বিজয় দিবসে শহীদ স্মৃতি ফলকে চরফ্যাশন বিএনপির শ্রদ্ধা ও র্্যালি জামায়াতে ইসলামী নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৪ইং (মহান বিজয় দিবস) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

কিশোরগঞ্জে জমিসহ ৫০টি ঘর পাচ্ছেন গৃহ ও ভূমিহীনরা।

  • আপডেট সময় : সোমবার, ১০ জুন, ২০২৪
  • ৩০ বার পঠিত

১০/০৬/২০২৪

বিজয় কর রতন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন প্রকল্প ‘আশ্রয়ণ-২’-এর আওতায় পঞ্চম ধাপে আরও ৫০ গৃহহীন ও ভূমিহীন ঘর পাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১১ জুন) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঘর হস্থান্তরের কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ জমিসহ ঘরের কবুলিয়ত দলিল, নামজারি, সনদ, ডিসিআর কপি ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হবে। আজ দুপুরে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এটিএম ফরহাদ চৌধুরির সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও সিভিল সার্জন সাইফুল ইসলাম। আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘জেলায় মোট বরাদ্দ ঘরের সংখ্যা ২ হাজার ৮৪০টি। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম পর্যায়ের প্রথম ধাপসহ মোট উদ্বোধন করা ঘরের সংখ্যা ২ হাজার ৭৯০টি। পঞ্চম পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে অবশিষ্ট ৫০টি ঘরের মধ্যে হোসেনপুরে ১৪টি, নিকলী উপজেলায় একটি, বাজিতপুরে ২০টি, তাড়াইলে ১৫টি এবং পুরোনো জরাজীর্ণ ব্যারাক প্রতিস্থাপন করে ভৈরবে ১৬০টি ও কুলিয়ারচরে ১২০টি একক গৃহ আগামী মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে কিশোরগঞ্জের ১৩টি উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী চলমান আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মেয়াদ জুন ২০২৫ পর্যন্ত বর্ধিত করেছেন। সর্বশেষ হালনাগাদ করা তালিকা মোতাবেক যেসব উপজেলা ইতোমধ্যে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষিত হয়েছে। সেসব উপজেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোনোভাবে আরও কোনো ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার থেকে থাকলে তাদেরও বিধি মোতাবেক পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এর আগে, সকালে ভূমিসেবা সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে একই জায়গায় এসে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ভূমিসেবা সপ্তাহ উপলক্ষে জনসচেতনতামূলক সভা হয়। এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাইরুজ তাসনিম, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহমুদুল হাসান, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রওশন কবির, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মেহেদী হাসান, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুফি সাজ্জাদ আল ফোজায়েল সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল হক মোল্লা দুলু প্রমুখ।

বার্তা প্রেরক
বিজয় কর রতন
মিঠামইন কিশোরগঞ্জ
মোবাইল:০১৭২৪৩৬৭৪৪

Facebook Comments Box
এই জাতীয় আরও খবর

ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ আজ ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশাল ট্র্যজেডি দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে নরসিংদীর ঘোড়াশালে আটিয়াগাঁও গ্রামে একই বাড়িতে শিশুসহ ১৮ নর-নারীকে হত্যা করা হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় গ্রামের সকল ঘর-বাড়ি। নির্মম হত্যাযজ্ঞে গ্রামের শিশুসহ প্রায় ২৫ থেকে ৩০জন নারী পুরুষকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানীরা। এই দিনটি আসলে এলাকার মানুষ আজও আৎকে উঠে সেই ভয়াবহ দিনটিকে স্মরণ করে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোন সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের ৯ দিন পূর্বে দেশজুড়ে যখন কোণঠাসা পশ্চিমা হানাদার বাহিনী। ঠিক সেই মুহূর্তে ঘোড়াশালে কয়েকটি খণ্ডযুদ্ধ হয় পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিকামী বাঙালীর। বিজয়ের কাছাকাছি সময়ে পাকিস্তানীরা ফিরে যাওয়ার সময় ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশালের আটিয়াগাঁও গ্রামে প্রবেশ করে। গ্রামে প্রবেশ করেই পাকিস্তানিরা আবুল কাসেমের বাড়িতে হত্যাকাণ্ড চালায়। এসময় বাড়িতে থাকা ৪ মাসের শিশু আয়শাসহ হত্যা করা হয় মোকছেদ আলী, মালাবক্স, শাহাজাহান, রহম আলী, আঃ হেকিম, হযরত আলী, আম্বিয়া খাতুন, মজিদা, শাহাজউদ্দিন, নেহাজউদ্দিন ও নেজু সহ প্রায় ১৮ নর-নারীকে। জ্বালিয়ে দেয়া হয় বাড়িঘর। এভাবে শুধুমাত্র আটিয়াগাঁও গ্রামেই ২৫ থেকে ৩০ নারী-পুরুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গুলিতে আহত হয় আরো প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন। হত্যাযজ্ঞের পরের দিনে তাদের অনেককেই গণকবর হিসেবে মাটি দেয়া হয়। সেই গণকবরগুলো আজ অরক্ষিত ঝোপঝাড়ে পরিণত। সরকারের পক্ষ থেকে নেই কোন উদ্যোগ। শহীদ পরিবারের খাতায়ও তাদের নাম আছে কিনা কেউ জানে না। যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সহায়তায় শহীদের প্রতি পরিবারের জন্য দেয়া দুই হাজার করে টাকা দেয়া ছাড়া তাদের ভাগ্যে কিছুই জোটেনি । সরকারের পক্ষ থেকে আটিয়াগাঁও এলাকার শহীদ হযরত আলীর ছেলে মো: হাবিবুল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনীরা আমার বাবা, দাদী ও ফফুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে মা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়ে আমাদের নি:স্ব করে দেয়া হয়েছিল। আমাদের চলার মতো তেমন কিছুই ছিলনা। আশপাশের গ্রামের লোকজন আমাদের চলার পথে সহায়তা করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার আজ ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও কেউ আমাদের খবর নেয়নি।’  এছাড়া শহীদ পরিবারের তালিকায় তাদের নাম আছে কিনা তাও জানেনা তারা।  একই এলাকার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্তার বাবুল জানান, পাক বাহিনীরা এই এলাকায় প্রবেশ করে প্রথমেই আমাদের ঘরে আগুন দেয়। এসময় বাড়িতে যাকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যরা ৪ মাসের শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তবে কয়েকজন বাড়ির পাশে গর্ত করে তাতে লুকিয়ে থেকে কোনক্রমে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থেকে রক্ষা পায়।   আরেক প্রত্যক্ষদর্শী রাহাতুন বেগম জানান, তখন অগ্রহায়ন মাস বাড়ির পাশেই ধানের কাজ করছিলেন। এমন সময় পাক বাহিনীর সদস্যরা এসে বাড়িঘরে আগুন দেয়। আর গুলি করে হত্যা করে যাকে সামনে পায়। পরে নিহতদের গণকবর দেয়া হয়। এখানে এখন ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে। এলাকার শহীদদের গণকবরস্থানে বধ্যভূমি নির্মাণের পাশাপাশি পরিবারগুলোর সহায়তায় সরকারকে পাশে দাড়ানোর দাবি জানান স্থানীয় ঘোড়াশাল পৌরসভা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সাবেক কমান্ডার ও সাবেক স্থানীয় কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক ভূইয়া। ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডির কথা উল্লেখ করে শহীদ পরিবারেরগুলোর স্মৃতি রক্ষার্থে একটি বধ্যভূমি নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান এলাকাবাসী। বিজয়ের ৫৩ বছর পেরিয়ে আজ এলাকাবাসীর দাবি হত্যাযজ্ঞে নিহত শহীদদের তালিকা প্রনয়ন, গণকবর তৈরী করে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ মর্যাদা দেয়া অরবিন্দ রায় ০১৯১৮৭৬৭৬৫৫