বিশেষ প্রতিনিধিঃ
অনেক দিন ধরে সংস্কার কাজ না হওয়া নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল বাইপাস হতে ঘোড়া চত্বর সড়কটিতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাস্তা প্রসস্ত করনের টেন্ডার আহবান করে এতে মাসুস হাইটেক ঠিকাদারী প্রতিষ্টান কাজ পায়, রাস্তা প্রসস্তকরনে বালিফিলিং এসএস, মেগাডামের কাজ সম্পন্ন করে ফেলে রাখার কারনে অতিবৃষ্টির দরুন রাস্তায় স্হানে স্হানে গর্তের সৃষ্টি হয়ে রাস্তাটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে, মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন শত শত ছোট বড় যানবাহন চলাচল করছে এই সড়কে।সম্প্রতি কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারনে সড়কটিআরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
এ সড়কে এশিযার সর্ববৃহৎ ইউরিয়া সারকারখানা, ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, প্রান-আরএফএল, স্যামরি ডায়িং, জনতা জুটমিল, ওমেরা পেট্রোলিয়াম লি:সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু সড়কে বড় বড় গর্ত থাকায় প্রতিনিয়ত হচ্ছে দুর্ঘটনার স্বীকার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘোড়াশাল চত্বরে রয়েছে ঘোড়ার ভাস্কর্য, পাশের রেললাইনের নিচে ফুলের বাগান। কিন্তু সড়কে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে পুকুরে পরিনত হয়েছে । ঘোড়াশাল শিল্প এলাকায় উক্ত রাস্তাটি ছাড়া মালামাল পরিবহনে আর কোন বিকল্প সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। প্রতিদিনই ছোট বড় যানবাহন সড়কের গর্তে উল্টে পড়ে থাকতে দেখা যায়,
সিএনজি চালক পাভেল মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কে বড় বড় গর্ত হয়ে আছে। আমার সিএনজিও তিনদিন পড়ে গেছে সড়কটিতে। গতকাল তিনটি ট্রাক গর্তে পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যাত্রীরা এখন আর এই সড়কে আসতে চায় না, তাই আগের চেয়ে উপার্জনও কমে গেছে। রিকশা চালক মুজিবর জানান, এটি সড়ক না খাল- বুঝায় যায় না। অনেক ভয় নিয়েই সড়ক পার হতাম আগে। এখন বড় বড় গর্ত ও পানি থাকায় এই সড়ক দিয়ে রিকশা নিয়ে যাওয়া যায় না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক এ.এইচ.এম.ফখরুল হোসাইন জানান, এই সড়কটি ঘোড়াশাল পৌরসভার নয়। এটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের। তারপরও আমরা এই সড়কের বিষয়ে সমন্বয় সভায় তাদের অবহিত করবো। এ বিষয়ে নরসিংদী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: হামিদুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ করেনি,তবে সূত্রে জানা যায় একই ঠিকাদারের ডাংগা অন্য একটি রাস্তার কাজ শেষ পর্যায়,। ঘোড়াশাল বাইপাস -ঘোড়াচত্বর রাস্তটি দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে।