সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পটুয়াখালী জেলাধীন গলাচিপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ব্রয়লার বিস্ফোরণে কারখানায় আগুনের ঘটনায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ জনে শ্যামনগর থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ২৪শের ছাত্র-জনতা ছাড়া অন্য কারো প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা নেই, উপদেষ্টা ফওজুল কবীর খান চরের হোগলা পাতার দড়িতে স্বপ্ন বোনেন নারীরা মিঠামইন হাওরে ৫০ একর বোরো জমিতে সমালয় চাষাবাদ অষ্টগ্রামে পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাচনে সভাপতি জাকির হোসেন মুকুল ও সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ঔষধ প্রশাসনের মতবিনিময় সভা বিজয় দিবসে শহীদ স্মৃতি ফলকে চরফ্যাশন বিএনপির শ্রদ্ধা ও র্্যালি জামায়াতে ইসলামী নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৪ইং (মহান বিজয় দিবস) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ঘোড়াশাল বাইপাস সড়কে খনা – খন্দকে ভরা যান চলাচলে বিঘ্নসৃষ্টি,

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২৮ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

অনেক দিন ধরে সংস্কার কাজ না হওয়া নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল বাইপাস হতে ঘোড়া চত্বর সড়কটিতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাস্তা প্রসস্ত করনের টেন্ডার আহবান করে এতে মাসুস হাইটেক ঠিকাদারী প্রতিষ্টান কাজ পায়, রাস্তা প্রসস্তকরনে বালিফিলিং এসএস, মেগাডামের কাজ সম্পন্ন করে ফেলে রাখার কারনে অতিবৃষ্টির দরুন রাস্তায় স্হানে স্হানে গর্তের সৃষ্টি হয়ে রাস্তাটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে, মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন শত শত ছোট বড় যানবাহন চলাচল করছে এই সড়কে।সম্প্রতি কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারনে সড়কটিআরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

এ সড়কে এশিযার সর্ববৃহৎ ইউরিয়া সারকারখানা, ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, প্রান-আরএফএল, স্যামরি ডায়িং, জনতা জুটমিল, ওমেরা পেট্রোলিয়াম লি:সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু সড়কে বড় বড় গর্ত থাকায় প্রতিনিয়ত হচ্ছে দুর্ঘটনার স্বীকার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘোড়াশাল চত্বরে রয়েছে ঘোড়ার ভাস্কর্য, পাশের রেললাইনের নিচে ফুলের বাগান। কিন্তু সড়কে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে পুকুরে পরিনত হয়েছে । ঘোড়াশাল শিল্প এলাকায় উক্ত রাস্তাটি ছাড়া মালামাল পরিবহনে আর কোন বিকল্প সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। প্রতিদিনই ছোট বড় যানবাহন সড়কের গর্তে উল্টে পড়ে থাকতে দেখা যায়,

সিএনজি চালক পাভেল মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কে বড় বড় গর্ত হয়ে আছে। আমার সিএনজিও তিনদিন পড়ে গেছে সড়কটিতে। গতকাল তিনটি ট্রাক গর্তে পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যাত্রীরা এখন আর এই সড়কে আসতে চায় না, তাই আগের চেয়ে উপার্জনও কমে গেছে। রিকশা চালক মুজিবর জানান, এটি সড়ক না খাল- বুঝায় যায় না। অনেক ভয় নিয়েই সড়ক পার হতাম আগে। এখন বড় বড় গর্ত ও পানি থাকায় এই সড়ক দিয়ে রিকশা নিয়ে যাওয়া যায় না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক এ.এইচ.এম.ফখরুল হোসাইন জানান, এই সড়কটি ঘোড়াশাল পৌরসভার নয়। এটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের। তারপরও আমরা এই সড়কের বিষয়ে সমন্বয় সভায় তাদের অবহিত করবো। এ বিষয়ে নরসিংদী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: হামিদুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ করেনি,তবে সূত্রে জানা যায় একই ঠিকাদারের ডাংগা অন্য একটি রাস্তার কাজ শেষ পর্যায়,। ঘোড়াশাল বাইপাস -ঘোড়াচত্বর রাস্তটি দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে।

Facebook Comments Box
এই জাতীয় আরও খবর

ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ আজ ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশাল ট্র্যজেডি দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে নরসিংদীর ঘোড়াশালে আটিয়াগাঁও গ্রামে একই বাড়িতে শিশুসহ ১৮ নর-নারীকে হত্যা করা হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় গ্রামের সকল ঘর-বাড়ি। নির্মম হত্যাযজ্ঞে গ্রামের শিশুসহ প্রায় ২৫ থেকে ৩০জন নারী পুরুষকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানীরা। এই দিনটি আসলে এলাকার মানুষ আজও আৎকে উঠে সেই ভয়াবহ দিনটিকে স্মরণ করে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোন সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের ৯ দিন পূর্বে দেশজুড়ে যখন কোণঠাসা পশ্চিমা হানাদার বাহিনী। ঠিক সেই মুহূর্তে ঘোড়াশালে কয়েকটি খণ্ডযুদ্ধ হয় পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিকামী বাঙালীর। বিজয়ের কাছাকাছি সময়ে পাকিস্তানীরা ফিরে যাওয়ার সময় ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশালের আটিয়াগাঁও গ্রামে প্রবেশ করে। গ্রামে প্রবেশ করেই পাকিস্তানিরা আবুল কাসেমের বাড়িতে হত্যাকাণ্ড চালায়। এসময় বাড়িতে থাকা ৪ মাসের শিশু আয়শাসহ হত্যা করা হয় মোকছেদ আলী, মালাবক্স, শাহাজাহান, রহম আলী, আঃ হেকিম, হযরত আলী, আম্বিয়া খাতুন, মজিদা, শাহাজউদ্দিন, নেহাজউদ্দিন ও নেজু সহ প্রায় ১৮ নর-নারীকে। জ্বালিয়ে দেয়া হয় বাড়িঘর। এভাবে শুধুমাত্র আটিয়াগাঁও গ্রামেই ২৫ থেকে ৩০ নারী-পুরুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গুলিতে আহত হয় আরো প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন। হত্যাযজ্ঞের পরের দিনে তাদের অনেককেই গণকবর হিসেবে মাটি দেয়া হয়। সেই গণকবরগুলো আজ অরক্ষিত ঝোপঝাড়ে পরিণত। সরকারের পক্ষ থেকে নেই কোন উদ্যোগ। শহীদ পরিবারের খাতায়ও তাদের নাম আছে কিনা কেউ জানে না। যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সহায়তায় শহীদের প্রতি পরিবারের জন্য দেয়া দুই হাজার করে টাকা দেয়া ছাড়া তাদের ভাগ্যে কিছুই জোটেনি । সরকারের পক্ষ থেকে আটিয়াগাঁও এলাকার শহীদ হযরত আলীর ছেলে মো: হাবিবুল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনীরা আমার বাবা, দাদী ও ফফুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে মা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়ে আমাদের নি:স্ব করে দেয়া হয়েছিল। আমাদের চলার মতো তেমন কিছুই ছিলনা। আশপাশের গ্রামের লোকজন আমাদের চলার পথে সহায়তা করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার আজ ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও কেউ আমাদের খবর নেয়নি।’  এছাড়া শহীদ পরিবারের তালিকায় তাদের নাম আছে কিনা তাও জানেনা তারা।  একই এলাকার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্তার বাবুল জানান, পাক বাহিনীরা এই এলাকায় প্রবেশ করে প্রথমেই আমাদের ঘরে আগুন দেয়। এসময় বাড়িতে যাকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যরা ৪ মাসের শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তবে কয়েকজন বাড়ির পাশে গর্ত করে তাতে লুকিয়ে থেকে কোনক্রমে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থেকে রক্ষা পায়।   আরেক প্রত্যক্ষদর্শী রাহাতুন বেগম জানান, তখন অগ্রহায়ন মাস বাড়ির পাশেই ধানের কাজ করছিলেন। এমন সময় পাক বাহিনীর সদস্যরা এসে বাড়িঘরে আগুন দেয়। আর গুলি করে হত্যা করে যাকে সামনে পায়। পরে নিহতদের গণকবর দেয়া হয়। এখানে এখন ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে। এলাকার শহীদদের গণকবরস্থানে বধ্যভূমি নির্মাণের পাশাপাশি পরিবারগুলোর সহায়তায় সরকারকে পাশে দাড়ানোর দাবি জানান স্থানীয় ঘোড়াশাল পৌরসভা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সাবেক কমান্ডার ও সাবেক স্থানীয় কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক ভূইয়া। ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডির কথা উল্লেখ করে শহীদ পরিবারেরগুলোর স্মৃতি রক্ষার্থে একটি বধ্যভূমি নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান এলাকাবাসী। বিজয়ের ৫৩ বছর পেরিয়ে আজ এলাকাবাসীর দাবি হত্যাযজ্ঞে নিহত শহীদদের তালিকা প্রনয়ন, গণকবর তৈরী করে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ মর্যাদা দেয়া অরবিন্দ রায় ০১৯১৮৭৬৭৬৫৫