সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পটুয়াখালী জেলাধীন গলাচিপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ব্রয়লার বিস্ফোরণে কারখানায় আগুনের ঘটনায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ জনে শ্যামনগর থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ২৪শের ছাত্র-জনতা ছাড়া অন্য কারো প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা নেই, উপদেষ্টা ফওজুল কবীর খান চরের হোগলা পাতার দড়িতে স্বপ্ন বোনেন নারীরা মিঠামইন হাওরে ৫০ একর বোরো জমিতে সমালয় চাষাবাদ অষ্টগ্রামে পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাচনে সভাপতি জাকির হোসেন মুকুল ও সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ঔষধ প্রশাসনের মতবিনিময় সভা বিজয় দিবসে শহীদ স্মৃতি ফলকে চরফ্যাশন বিএনপির শ্রদ্ধা ও র্্যালি জামায়াতে ইসলামী নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৪ইং (মহান বিজয় দিবস) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

নওগাঁয় সড়কের মাঝে ফাটল

  • আপডেট সময় : বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২৪ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্টঃ-

-নওগাঁর আত্রাইয়ে পাকা সড়ক দেবে প্রায় তিন ফিট গভীর হয়ে খালের মধ্যে ধসে গেছে। গত শনিবার (১২ অক্টোবর) ভোর রাতে সড়কের শলিয়া নামক স্থানে গাইড ওয়ালসহ ভেঙে ধসে যায়। এতে যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, সড়কের কাজ করার সময় গোড়া থেকেই মাটি তুলে সড়ক নির্মাণসহ নানা অনিয়মের কারণে সড়কটি ধসে যাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গছে, উপজেলার আত্রাই-বান্দাইখাড়া সড়কের কালিকাপুর ইউনিয়নের কুশাতলা বাজার থেকে কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদ অভিমুখে সড়কটি এক বছর আগে এলজিইডির আওতায় পাকা করণ কাজ শেষ হয়। কাজ শেষ করার মাত্র এক বছরের মাথায় সড়কের শলিয়া নামক স্থানে গাইড ওয়াল ভেঙে প্রায় ১০০ ফিট পর্যন্ত সড়ক দেবে গেছে। শলিয়া গ্রামের রুহুল আমিন তারেক, সিরাজুল ইসলামসহ স্থানীয়রা জানান, টানা ভারী বর্ষণে গত বুধবার সড়কে ফাটল ধরে। এরপর শনিবার ভোরে গাইড ওয়াল ভেঙে সড়কের অর্ধেক অংশ দেবে খালের মধ্যে ধসে যায়। এতে কোনো রকমে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হচ্ছে। যে কোনো সময় বাকি অংশটুকুও ধসে যেতে পারে। এতে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল একদম বন্ধ হয়ে যাবে।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, সড়ক নির্মাণ করার সময় অন্যত্র থেকে মাটি না নিয়ে এসে সড়কের গোড়া থেকেই ভেকু মেশিন দিয়ে খালের মাটি তুলে সড়ক ভরাট করা হয়েছে। ওই সময় গ্রামের বেশ কিছু লোকজন বাধা দিলেও কাজ হয়নি। তারা বলছেন, গ্রামের লোকজন তখনই বলেছিলেন, সড়কের গাইড ওয়ালের গোড়া থেকে মাটি তুলে নির্মাণ করলে সড়ক ধসে যাবে। কিন্তু গ্রামবাসীর কথা কেউ কানে নেয়নি। ওই সড়কের আরও বেশ কয়েক স্থানে ফাটল ধরেছে বলে জানান স্থানীয়রা। স্থানীয়রা বলছেন, দুটি স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদসহ এলাকাবাসীর চলাচলের একমাত্র ভরসা এই সড়ক। তাই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে দ্রুত সড়ক মেরামতের দাবি জানান তারা। আত্রাই উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) ইসমাইল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে লোক পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Facebook Comments Box
এই জাতীয় আরও খবর

ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ আজ ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশাল ট্র্যজেডি দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে নরসিংদীর ঘোড়াশালে আটিয়াগাঁও গ্রামে একই বাড়িতে শিশুসহ ১৮ নর-নারীকে হত্যা করা হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় গ্রামের সকল ঘর-বাড়ি। নির্মম হত্যাযজ্ঞে গ্রামের শিশুসহ প্রায় ২৫ থেকে ৩০জন নারী পুরুষকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানীরা। এই দিনটি আসলে এলাকার মানুষ আজও আৎকে উঠে সেই ভয়াবহ দিনটিকে স্মরণ করে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোন সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের ৯ দিন পূর্বে দেশজুড়ে যখন কোণঠাসা পশ্চিমা হানাদার বাহিনী। ঠিক সেই মুহূর্তে ঘোড়াশালে কয়েকটি খণ্ডযুদ্ধ হয় পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিকামী বাঙালীর। বিজয়ের কাছাকাছি সময়ে পাকিস্তানীরা ফিরে যাওয়ার সময় ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশালের আটিয়াগাঁও গ্রামে প্রবেশ করে। গ্রামে প্রবেশ করেই পাকিস্তানিরা আবুল কাসেমের বাড়িতে হত্যাকাণ্ড চালায়। এসময় বাড়িতে থাকা ৪ মাসের শিশু আয়শাসহ হত্যা করা হয় মোকছেদ আলী, মালাবক্স, শাহাজাহান, রহম আলী, আঃ হেকিম, হযরত আলী, আম্বিয়া খাতুন, মজিদা, শাহাজউদ্দিন, নেহাজউদ্দিন ও নেজু সহ প্রায় ১৮ নর-নারীকে। জ্বালিয়ে দেয়া হয় বাড়িঘর। এভাবে শুধুমাত্র আটিয়াগাঁও গ্রামেই ২৫ থেকে ৩০ নারী-পুরুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গুলিতে আহত হয় আরো প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন। হত্যাযজ্ঞের পরের দিনে তাদের অনেককেই গণকবর হিসেবে মাটি দেয়া হয়। সেই গণকবরগুলো আজ অরক্ষিত ঝোপঝাড়ে পরিণত। সরকারের পক্ষ থেকে নেই কোন উদ্যোগ। শহীদ পরিবারের খাতায়ও তাদের নাম আছে কিনা কেউ জানে না। যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সহায়তায় শহীদের প্রতি পরিবারের জন্য দেয়া দুই হাজার করে টাকা দেয়া ছাড়া তাদের ভাগ্যে কিছুই জোটেনি । সরকারের পক্ষ থেকে আটিয়াগাঁও এলাকার শহীদ হযরত আলীর ছেলে মো: হাবিবুল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনীরা আমার বাবা, দাদী ও ফফুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে মা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়ে আমাদের নি:স্ব করে দেয়া হয়েছিল। আমাদের চলার মতো তেমন কিছুই ছিলনা। আশপাশের গ্রামের লোকজন আমাদের চলার পথে সহায়তা করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার আজ ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও কেউ আমাদের খবর নেয়নি।’  এছাড়া শহীদ পরিবারের তালিকায় তাদের নাম আছে কিনা তাও জানেনা তারা।  একই এলাকার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্তার বাবুল জানান, পাক বাহিনীরা এই এলাকায় প্রবেশ করে প্রথমেই আমাদের ঘরে আগুন দেয়। এসময় বাড়িতে যাকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যরা ৪ মাসের শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তবে কয়েকজন বাড়ির পাশে গর্ত করে তাতে লুকিয়ে থেকে কোনক্রমে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থেকে রক্ষা পায়।   আরেক প্রত্যক্ষদর্শী রাহাতুন বেগম জানান, তখন অগ্রহায়ন মাস বাড়ির পাশেই ধানের কাজ করছিলেন। এমন সময় পাক বাহিনীর সদস্যরা এসে বাড়িঘরে আগুন দেয়। আর গুলি করে হত্যা করে যাকে সামনে পায়। পরে নিহতদের গণকবর দেয়া হয়। এখানে এখন ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে। এলাকার শহীদদের গণকবরস্থানে বধ্যভূমি নির্মাণের পাশাপাশি পরিবারগুলোর সহায়তায় সরকারকে পাশে দাড়ানোর দাবি জানান স্থানীয় ঘোড়াশাল পৌরসভা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সাবেক কমান্ডার ও সাবেক স্থানীয় কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক ভূইয়া। ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডির কথা উল্লেখ করে শহীদ পরিবারেরগুলোর স্মৃতি রক্ষার্থে একটি বধ্যভূমি নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান এলাকাবাসী। বিজয়ের ৫৩ বছর পেরিয়ে আজ এলাকাবাসীর দাবি হত্যাযজ্ঞে নিহত শহীদদের তালিকা প্রনয়ন, গণকবর তৈরী করে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ মর্যাদা দেয়া অরবিন্দ রায় ০১৯১৮৭৬৭৬৫৫