সরকার আব্দুর রাজ্জাক
জামালপুর প্রতিনিধি:
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত জামালপুরের তিনটি উপজেলায় ভোট গ্রহণে নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে এক লাখ টাকা জমা দিতে হয়। নির্বাচনী এলাকার প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট না পেলে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সে মোতাবেক বেসরকারি ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এবং নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী জামালপুরের বকশিগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২জন চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের জামানত হারাচ্ছেন।
দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বকশিগঞ্জ উপজেলায় চারজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৯৮ জন।
সুচনীয় পরাজয়ের মাধমে
পনর ভাগের এক ভাগ ভোট না পাওয়ায় বকশিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম তার জামানত হারাচ্ছেন। এ নির্বাচনে সর্বমোট ৬৮ হাজার ৬ ভোট কাস্টিং হয়েছে। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৩৬৮ ভোট। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ৬৭ হাজার ৬৩৮ ভোট। জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ৪ হাজার ৫৩৪ ভোটের। কিন্তু বকশিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম (আনারস) প্রতীকে ৩ হাজার ৬৩ ভোট পেয়ে সুচনীয় ভাবে পরাজয় হয়। একারনে তার জামানত হারাচ্ছেন।
এ ছাড়াও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় পাঁচ প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৪ হাজার ৯০৭ জন।
নির্বাচনে সর্বমোট ৮৪ হাজার ৬৫৫ ভোট কাস্টিং হয়েছে। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ৩১৯ ভোট। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ৮৪ হাজার ৩৩৬ ভোট। জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ৫ হাজার ৬৪৪ ভোটের। চেয়ারম্যান প্রার্থী দেওয়ান মো. ইমরান (আনারস) প্রতীকে ৫হাজার ৪৮৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হয় তিনিও তার জামানত হারাচ্ছেন ।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার জানান, কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে কাস্টিং ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট পেতে হবে। এর কম ভোট পেলে তার জামানত ফেরত পাবেন না। ফলে জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলা ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ২ চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের জামানত হারাবেন।