সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পটুয়াখালী জেলাধীন গলাচিপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ব্রয়লার বিস্ফোরণে কারখানায় আগুনের ঘটনায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ জনে শ্যামনগর থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ২৪শের ছাত্র-জনতা ছাড়া অন্য কারো প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা নেই, উপদেষ্টা ফওজুল কবীর খান চরের হোগলা পাতার দড়িতে স্বপ্ন বোনেন নারীরা মিঠামইন হাওরে ৫০ একর বোরো জমিতে সমালয় চাষাবাদ অষ্টগ্রামে পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাচনে সভাপতি জাকির হোসেন মুকুল ও সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ঔষধ প্রশাসনের মতবিনিময় সভা বিজয় দিবসে শহীদ স্মৃতি ফলকে চরফ্যাশন বিএনপির শ্রদ্ধা ও র্্যালি জামায়াতে ইসলামী নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৪ইং (মহান বিজয় দিবস) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

মিঠামইনে তরুণ শিক্ষিত ভোটাররা উন্নয়নের পক্ষে। কোনো কোনো প্রার্থী যানবাহন ব্যাবহারের মাধ্যমেই প্রচার সীমাবদ্ধ।

  • আপডেট সময় : শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪
  • ৮২ বার পঠিত

২৫/০৫/২০২৪

বিজয় কর রতন মিঠামইন (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:-চলমান ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে তথা ২৯ শে মে অনুষ্ঠিতব্য কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৩ জন প্রার্থী।ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পরে ৫ জন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। মিঠামইনে মোট ভোটার ৭ ইউনিয়নে ১ লক্ষ ৫ হাজার ৫৫৬ জন।ভোট কেন্দ্র ৪২ টি। চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন যারা ৩ জনই আওয়ামিলীগ সমর্থক। মিঠামইন ইউনিয়ন পরিষদের ২ বারের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদের ছোট বোন হাওর কন্যা হিসাবে খ্যাত আলহাজ্ব আছিয়া আলম। তিনি মার্কা পেয়েছে মোটরসাইকেল। ঘাগড়া ইউনিয়নের ৪ বারের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বোরহান উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন আনারস মার্কা।পাশাপাশি অপর প্রার্থী যিনি রাজ পরিবারের হাত ধরে প্রথমে শিক্ষকতা ও পরে আওয়ামী রাজনীতিতে পদার্পণ করেছেন তিনি হলেন, মো: শাহজাহান মিয়া শাহজাহান মাষ্টার নামে পরিচিত। তিনি পেয়েছেন ঘোড়া মার্ক। ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো: ইব্রাহিম মিয়া( মাইক) মো: শাফির উদ্দিন (তালা),ইসলাম উদ্দিন (উড়ো জাহাজ)।মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন জুলি চৌধুরী (ফুটবল), রোকেয়া আক্তার মিনা(কলস),ফেরদৌসী হক রিপা(পাখা),হেলেনা আক্তার (হাঁস),মাহবুবা রহমান (প্রজাপতি) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।এ বছর নির্বাচনে কোনো কোনো প্রার্থী যানবাহনের উপর নির্ভর করে প্রচারণা চালাচ্ছেন।এলাকায় রাষ্ট্রপতির সুবাধে ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় এখন আর পায়ে হেটে প্রচার প্রচারণা করতে হয় না।কোনো কোনো প্রার্থী রয়েছে শুধু অটোরিকশায় মাইক লাগিয়ে প্রচার করছেন।নেই কোনো পথসভা নেই সভাসমাবেশ। রাস্তার পাশে কোনো গ্রাম পেলে হাত মিলিয়ে ভোট চাইছেন।এখন পর্যন্ত ৩ জন প্রার্থীর মধ্যে আলহাজ্ব আছিয়া আলম গণসংযোগ ও পথ সভার প্রচারপএ বিভিন্ন ইউনিয়নে পৌঁছে দিচ্ছেন। অন্য কোনো চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচার পএ চোখে পড়েনি। তারা মিছিল মাইকের মাধ্যমে যানবাহন নিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। আছিয়া আলম মিঠামইন সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম খুরশীদ আলমের সহধর্মিণী ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ছোট বোন।তিনি পর পর ২ বার মিঠামইন সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন।স্বর্ণ পদক ও পেয়েছেন।অপর প্রার্থী আলহাজ্ব বোরহান উদ্দিন চৌধুরী ৪ বার ঘাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।পরে চেয়ারম্যান থেকে এম,পি নির্বাচনে অংশ নেয়।এম,পি থেকে জেলা পরিষদ সদস্য পদে নির্বাচনে চলে আসেন।পরে পুনরায় ইউ,পি নির্বাচনে অংশ নেয়।কিন্তু পাশ করতে পারেননি।এলাকা বাসীর অভিযোগ তার আমলে এলাকায় কাংকিত কোনো উন্নয়ন হয়নি।সাধারণ ভোটারদের মতামত যারা উন্নয়ন করতে পারবে তাদেরকে আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবো।এবারের ভোটারদের মাঝে তরুণ শিক্ষিত পুরুষ ও মহিলা ভোটারা যোগ্য ব্যাক্তিকে ভোট দিবেন বলে মন্তব্য করেছেন। যারা বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্হার যোগ্যতা রয়েছে তাদের হাতেই আমাদের মূল্যবান ভোট তুলে দিব।যারা এলাকায় খুন মাডার দূর্নীতি অনিয়ম রোধ করতে পারবে তারাই যোগ্য প্রার্থী।অপর প্রার্থী মো: শাহজাহান মিয়া শিক্ষগতা অবসর নিয়ে বর্তমানে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।তিনি বর্তমানে মিঠামইন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি। যাদের সান্নিধ্যে চাকরি ও রাজনীতির সুযোগ পেয়েছেন। আজ তিনি তাদের বিরুদ্ধে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। প্রচার প্রচারণায় একমাএ মাইক ছাড়া কিছু নেই।নিরবে ভোটারদের দোয়ারে দোয়ারে ঘুরছেন।চায়ের দোকান, রাস্তা ঘাট,মাঠে ঘাটে,হাওরে একই আওয়াজ উন্নয়নের প্রতীকের পিছনে আমরা আছি।সুন্দর সুন্দর মুখ রুচক কথা বলে লাভ নেই।কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে গোপনে রাতের আধারে ভোটারদের অর্থয়ের বিনিময়ে ভোট আদায় করার গোজব রয়েছে এলাকায়। অনেকে আবার এম,পি সাহেব, রাষ্ট্রপতির নাম ব্যাবহার করে ভোটারদের সাথে প্রথারণা করছেন।তবে এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এলাকায় ৭ ইউনিয়নে ৩ শত জন সাধারণ ভোটারের মতামতের এক জরিপে দেখা যায়, অধিকাংশ ভোটারাই এলাকায় উন্নয়ন ও সৎ ন্যায়ের পক্ষে। কারো কথায় কেউ ভোট দিবে না।যারা রাস্তা ঘাট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করেছেন। তাদের কে নির্বাচিত করবো।

বার্তা প্রেরক
বিজয় কর রতন
দৈনিক সমকাল
মিঠামইন কিশোরগঞ্জ
মোবাইল:-০১৭২৪৩৬২৭৪৪

Facebook Comments Box
এই জাতীয় আরও খবর

ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ আজ ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশাল ট্র্যজেডি দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে নরসিংদীর ঘোড়াশালে আটিয়াগাঁও গ্রামে একই বাড়িতে শিশুসহ ১৮ নর-নারীকে হত্যা করা হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় গ্রামের সকল ঘর-বাড়ি। নির্মম হত্যাযজ্ঞে গ্রামের শিশুসহ প্রায় ২৫ থেকে ৩০জন নারী পুরুষকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানীরা। এই দিনটি আসলে এলাকার মানুষ আজও আৎকে উঠে সেই ভয়াবহ দিনটিকে স্মরণ করে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোন সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের ৯ দিন পূর্বে দেশজুড়ে যখন কোণঠাসা পশ্চিমা হানাদার বাহিনী। ঠিক সেই মুহূর্তে ঘোড়াশালে কয়েকটি খণ্ডযুদ্ধ হয় পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিকামী বাঙালীর। বিজয়ের কাছাকাছি সময়ে পাকিস্তানীরা ফিরে যাওয়ার সময় ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশালের আটিয়াগাঁও গ্রামে প্রবেশ করে। গ্রামে প্রবেশ করেই পাকিস্তানিরা আবুল কাসেমের বাড়িতে হত্যাকাণ্ড চালায়। এসময় বাড়িতে থাকা ৪ মাসের শিশু আয়শাসহ হত্যা করা হয় মোকছেদ আলী, মালাবক্স, শাহাজাহান, রহম আলী, আঃ হেকিম, হযরত আলী, আম্বিয়া খাতুন, মজিদা, শাহাজউদ্দিন, নেহাজউদ্দিন ও নেজু সহ প্রায় ১৮ নর-নারীকে। জ্বালিয়ে দেয়া হয় বাড়িঘর। এভাবে শুধুমাত্র আটিয়াগাঁও গ্রামেই ২৫ থেকে ৩০ নারী-পুরুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গুলিতে আহত হয় আরো প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন। হত্যাযজ্ঞের পরের দিনে তাদের অনেককেই গণকবর হিসেবে মাটি দেয়া হয়। সেই গণকবরগুলো আজ অরক্ষিত ঝোপঝাড়ে পরিণত। সরকারের পক্ষ থেকে নেই কোন উদ্যোগ। শহীদ পরিবারের খাতায়ও তাদের নাম আছে কিনা কেউ জানে না। যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সহায়তায় শহীদের প্রতি পরিবারের জন্য দেয়া দুই হাজার করে টাকা দেয়া ছাড়া তাদের ভাগ্যে কিছুই জোটেনি । সরকারের পক্ষ থেকে আটিয়াগাঁও এলাকার শহীদ হযরত আলীর ছেলে মো: হাবিবুল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনীরা আমার বাবা, দাদী ও ফফুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে মা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়ে আমাদের নি:স্ব করে দেয়া হয়েছিল। আমাদের চলার মতো তেমন কিছুই ছিলনা। আশপাশের গ্রামের লোকজন আমাদের চলার পথে সহায়তা করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার আজ ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও কেউ আমাদের খবর নেয়নি।’  এছাড়া শহীদ পরিবারের তালিকায় তাদের নাম আছে কিনা তাও জানেনা তারা।  একই এলাকার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্তার বাবুল জানান, পাক বাহিনীরা এই এলাকায় প্রবেশ করে প্রথমেই আমাদের ঘরে আগুন দেয়। এসময় বাড়িতে যাকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যরা ৪ মাসের শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তবে কয়েকজন বাড়ির পাশে গর্ত করে তাতে লুকিয়ে থেকে কোনক্রমে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থেকে রক্ষা পায়।   আরেক প্রত্যক্ষদর্শী রাহাতুন বেগম জানান, তখন অগ্রহায়ন মাস বাড়ির পাশেই ধানের কাজ করছিলেন। এমন সময় পাক বাহিনীর সদস্যরা এসে বাড়িঘরে আগুন দেয়। আর গুলি করে হত্যা করে যাকে সামনে পায়। পরে নিহতদের গণকবর দেয়া হয়। এখানে এখন ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে। এলাকার শহীদদের গণকবরস্থানে বধ্যভূমি নির্মাণের পাশাপাশি পরিবারগুলোর সহায়তায় সরকারকে পাশে দাড়ানোর দাবি জানান স্থানীয় ঘোড়াশাল পৌরসভা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সাবেক কমান্ডার ও সাবেক স্থানীয় কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক ভূইয়া। ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডির কথা উল্লেখ করে শহীদ পরিবারেরগুলোর স্মৃতি রক্ষার্থে একটি বধ্যভূমি নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান এলাকাবাসী। বিজয়ের ৫৩ বছর পেরিয়ে আজ এলাকাবাসীর দাবি হত্যাযজ্ঞে নিহত শহীদদের তালিকা প্রনয়ন, গণকবর তৈরী করে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ মর্যাদা দেয়া অরবিন্দ রায় ০১৯১৮৭৬৭৬৫৫