২৫/০৫/২০২৪
বিজয় কর রতন মিঠামইন (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:-চলমান ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে তথা ২৯ শে মে অনুষ্ঠিতব্য কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৩ জন প্রার্থী।ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পরে ৫ জন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। মিঠামইনে মোট ভোটার ৭ ইউনিয়নে ১ লক্ষ ৫ হাজার ৫৫৬ জন।ভোট কেন্দ্র ৪২ টি। চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন যারা ৩ জনই আওয়ামিলীগ সমর্থক। মিঠামইন ইউনিয়ন পরিষদের ২ বারের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদের ছোট বোন হাওর কন্যা হিসাবে খ্যাত আলহাজ্ব আছিয়া আলম। তিনি মার্কা পেয়েছে মোটরসাইকেল। ঘাগড়া ইউনিয়নের ৪ বারের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বোরহান উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন আনারস মার্কা।পাশাপাশি অপর প্রার্থী যিনি রাজ পরিবারের হাত ধরে প্রথমে শিক্ষকতা ও পরে আওয়ামী রাজনীতিতে পদার্পণ করেছেন তিনি হলেন, মো: শাহজাহান মিয়া শাহজাহান মাষ্টার নামে পরিচিত। তিনি পেয়েছেন ঘোড়া মার্ক। ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো: ইব্রাহিম মিয়া( মাইক) মো: শাফির উদ্দিন (তালা),ইসলাম উদ্দিন (উড়ো জাহাজ)।মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন জুলি চৌধুরী (ফুটবল), রোকেয়া আক্তার মিনা(কলস),ফেরদৌসী হক রিপা(পাখা),হেলেনা আক্তার (হাঁস),মাহবুবা রহমান (প্রজাপতি) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।এ বছর নির্বাচনে কোনো কোনো প্রার্থী যানবাহনের উপর নির্ভর করে প্রচারণা চালাচ্ছেন।এলাকায় রাষ্ট্রপতির সুবাধে ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় এখন আর পায়ে হেটে প্রচার প্রচারণা করতে হয় না।কোনো কোনো প্রার্থী রয়েছে শুধু অটোরিকশায় মাইক লাগিয়ে প্রচার করছেন।নেই কোনো পথসভা নেই সভাসমাবেশ। রাস্তার পাশে কোনো গ্রাম পেলে হাত মিলিয়ে ভোট চাইছেন।এখন পর্যন্ত ৩ জন প্রার্থীর মধ্যে আলহাজ্ব আছিয়া আলম গণসংযোগ ও পথ সভার প্রচারপএ বিভিন্ন ইউনিয়নে পৌঁছে দিচ্ছেন। অন্য কোনো চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রচার পএ চোখে পড়েনি। তারা মিছিল মাইকের মাধ্যমে যানবাহন নিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। আছিয়া আলম মিঠামইন সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম খুরশীদ আলমের সহধর্মিণী ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ছোট বোন।তিনি পর পর ২ বার মিঠামইন সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন।স্বর্ণ পদক ও পেয়েছেন।অপর প্রার্থী আলহাজ্ব বোরহান উদ্দিন চৌধুরী ৪ বার ঘাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।পরে চেয়ারম্যান থেকে এম,পি নির্বাচনে অংশ নেয়।এম,পি থেকে জেলা পরিষদ সদস্য পদে নির্বাচনে চলে আসেন।পরে পুনরায় ইউ,পি নির্বাচনে অংশ নেয়।কিন্তু পাশ করতে পারেননি।এলাকা বাসীর অভিযোগ তার আমলে এলাকায় কাংকিত কোনো উন্নয়ন হয়নি।সাধারণ ভোটারদের মতামত যারা উন্নয়ন করতে পারবে তাদেরকে আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবো।এবারের ভোটারদের মাঝে তরুণ শিক্ষিত পুরুষ ও মহিলা ভোটারা যোগ্য ব্যাক্তিকে ভোট দিবেন বলে মন্তব্য করেছেন। যারা বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্হার যোগ্যতা রয়েছে তাদের হাতেই আমাদের মূল্যবান ভোট তুলে দিব।যারা এলাকায় খুন মাডার দূর্নীতি অনিয়ম রোধ করতে পারবে তারাই যোগ্য প্রার্থী।অপর প্রার্থী মো: শাহজাহান মিয়া শিক্ষগতা অবসর নিয়ে বর্তমানে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।তিনি বর্তমানে মিঠামইন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি। যাদের সান্নিধ্যে চাকরি ও রাজনীতির সুযোগ পেয়েছেন। আজ তিনি তাদের বিরুদ্ধে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। প্রচার প্রচারণায় একমাএ মাইক ছাড়া কিছু নেই।নিরবে ভোটারদের দোয়ারে দোয়ারে ঘুরছেন।চায়ের দোকান, রাস্তা ঘাট,মাঠে ঘাটে,হাওরে একই আওয়াজ উন্নয়নের প্রতীকের পিছনে আমরা আছি।সুন্দর সুন্দর মুখ রুচক কথা বলে লাভ নেই।কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে গোপনে রাতের আধারে ভোটারদের অর্থয়ের বিনিময়ে ভোট আদায় করার গোজব রয়েছে এলাকায়। অনেকে আবার এম,পি সাহেব, রাষ্ট্রপতির নাম ব্যাবহার করে ভোটারদের সাথে প্রথারণা করছেন।তবে এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এলাকায় ৭ ইউনিয়নে ৩ শত জন সাধারণ ভোটারের মতামতের এক জরিপে দেখা যায়, অধিকাংশ ভোটারাই এলাকায় উন্নয়ন ও সৎ ন্যায়ের পক্ষে। কারো কথায় কেউ ভোট দিবে না।যারা রাস্তা ঘাট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করেছেন। তাদের কে নির্বাচিত করবো।
বার্তা প্রেরক
বিজয় কর রতন
দৈনিক সমকাল
মিঠামইন কিশোরগঞ্জ
মোবাইল:-০১৭২৪৩৬২৭৪৪