মো. হুমায়ুন কবির
গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ-
উপকূলীয় অঞ্চলের নদ-নদী ও বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ধরা পরছেনা পর্যাপ্ত ইলিশ। তবে নদ-নদীগুলোতে ধরা পরছে প্রচুর পরিমানে পাঙ্গাস মাছ। এতে হতাশ হচ্ছে ইলিশ শিকারীরা। গলাচিপার বিভিন্ন গ্রামের ইলিশ শিকারীদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।গলাচিপার বোয়ালিয়া গ্রামের ইলিশ জেলে মো. নাসির উদ্দিন জানান, এই অঞ্চলের বাজারগুলোতে সয়লাব ২-১২কেজি ওজনের পাঙ্গাস মাছ। চাষকৃত পাঙ্গাশ মাছ কিছুটা কম দামে বিক্রি হলেও নদ-নদীর পাঙ্গাশ মাছ আকারভেদে মাছগুলো ৪০০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে'। পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা মাছ বাজার ও পানপট্টি লঞ্চঘাট মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে ক্রেতারা ইলিশ না পেলেও অতি সহজেই পাঙ্গাশ কিনতে পারছে। জেলে আ. রহিম জানান, এর আগে কখনো গলাচিপার নদ-নদীতে এতো পাঙ্গাশ ধরা পরেনি। তাদের ধারণা পাঙ্গাশ রাক্ষুসে মাছ হওয়ায় এগুলো হয়তো ইলিশের পোনা খাদ্য হিসেবে গ্রহন করায় ইলিশের উৎপাদন কমে গেছে।
ক্রেতারা জানান, 'বাজারে পর্যাপ্ত পরিমানে পাঙ্গাশ মাছ ও দাম কিছুটা কম থাকায় ইলিশ কিনতে আসলেও পাঙ্গাশ মাছ কিনেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুন্নবী বলেন, গত দুই বছর যাবৎ উপকূলীয় পটুয়াখালী ও ভোলা জেলার মৎস্য বিভাগ অভিযান চালিয়ে ব্যাপক পরিমানে ছোট পাঙ্গাশ ধরার চাই ( মাছ ধরার বিশেষ প্রযুক্তি) জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছি। একটি চাই এ ১০০-১২০ কেজি ছোট পাঙ্গাশ ধরে পরে। এগুলো বেশির ভাগ পুড়িয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছি। যার ফলস্বরূপ পাঙ্গাশ মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পেয়েছে এবং বর্তমানে জেলেদের জাল ও বড়শিতে এখন পরছে। প্রতিদিন শুধু গলাচিপাতেই দেড়-দুই মেট্রিকটন বড় আকারের পাঙ্গাশ মাছ আহরণ হচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এম রহমান
ঠিকানা : গুলজান সিটি,লবনচরা,খুলনা