সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পটুয়াখালী জেলাধীন গলাচিপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ব্রয়লার বিস্ফোরণে কারখানায় আগুনের ঘটনায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ জনে শ্যামনগর থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ২৪শের ছাত্র-জনতা ছাড়া অন্য কারো প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা নেই, উপদেষ্টা ফওজুল কবীর খান চরের হোগলা পাতার দড়িতে স্বপ্ন বোনেন নারীরা মিঠামইন হাওরে ৫০ একর বোরো জমিতে সমালয় চাষাবাদ অষ্টগ্রামে পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাচনে সভাপতি জাকির হোসেন মুকুল ও সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ঔষধ প্রশাসনের মতবিনিময় সভা বিজয় দিবসে শহীদ স্মৃতি ফলকে চরফ্যাশন বিএনপির শ্রদ্ধা ও র্্যালি জামায়াতে ইসলামী নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৪ইং (মহান বিজয় দিবস) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

রংপুর কারমাইকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেলেন ড. রেহেনা খাতুন

  • আপডেট সময় : বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২১ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্টঃ-

রংপুর কারমাইকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেলেন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক ও কারমাইকেল কলেজ প্রাক্তন ছাত্র সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য প্রফেসর ড. রেহেনা খাতুন।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ড. রেহেনা খাতুন আইবিএসসি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন শেষে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কারমাইকেল কলেজের প্রাক্তন ছাত্রী ড. রেহেনা খাতুন এর আগে রংপুর সরকারি কলেজে দুই বছর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত বছর শিক্ষকতা করেছেন। তিনি কারমাইকেল কলেজ প্রাক্তন ছাত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক জনাব রকিবুস সুলতান মানিক-এর সহধর্মিণী।

প্রফেসর ড. রেহেনা খাতুন ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় খুশি রংপুর অঞ্চলের সচেতন মহল। তাদের চাওয়া উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ এই কারমাইকেল কলেজটি যেন এবার তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পায়। দীর্ঘদিন থেকে অবহেলিত অবস্থায় পড়ে থাকা কলেজটি যেন সবদিক থেকে অবদান রাখতে পারে।

জানা যায়, নানা কারণে ৫/৭ বছর থেকে শিক্ষায় পিছিয়ে পড়েছে কলেজটি। একাধিক সূত্র জানায়, কলেজটির পড়াশোনার মান আগের মত নেই। শিক্ষকগণ নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকেন না। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় চলতে দেখা যায় তাদেরকে। একারণে ঐতিহ্যবাহী এই কলেজটির এমন বেহাল দশা, দাবি সচেতন মহলের। তাদের আশা, এই কলেজের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী উপাধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন হওয়ায় এবার হয়তো কলেজটি তার আগের ঐতিহ্য ফিরে পাবে।

এদিকে প্রফেসর ড. রেহেনা খাতুন কারমাইকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন কারমাইকেল কলেজ প্রাক্তন ছাত্র সমিতির নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ, রংপুর আঞ্চলিক কমিটির মনিরুল হক প্রধান, মাহবুবুল হক প্রিন্স, তরিকুল ইসলামও রুহুল আমিন। আরো শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইসলামী ছাত্র শিবির কারমাইকেল কলেজ শাখার সভাপতি জনাব মোঃ মেহেদী হাসান, কারমাইকেল কলেজ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি সৌধ, তাজুল ইসলাম লিমন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাবুখাঁর সমন্বয়ক মোঃ নুরুজ্জামান, বিএনসিসি এক্স ক্যাডেট এসোসিয়েশন রংপুর ইউনিটের রেজাউর রহমান রেজা, সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়া বিলু, সাংবাদিক শাহআলম, চ্যানেল আই রংপুরের বার্তা প্রধান, সাংবাদিক মেরিনা লাভলী প্রমূখ।

Facebook Comments Box
এই জাতীয় আরও খবর

ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ আজ ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশাল ট্র্যজেডি দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে নরসিংদীর ঘোড়াশালে আটিয়াগাঁও গ্রামে একই বাড়িতে শিশুসহ ১৮ নর-নারীকে হত্যা করা হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় গ্রামের সকল ঘর-বাড়ি। নির্মম হত্যাযজ্ঞে গ্রামের শিশুসহ প্রায় ২৫ থেকে ৩০জন নারী পুরুষকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানীরা। এই দিনটি আসলে এলাকার মানুষ আজও আৎকে উঠে সেই ভয়াবহ দিনটিকে স্মরণ করে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোন সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের ৯ দিন পূর্বে দেশজুড়ে যখন কোণঠাসা পশ্চিমা হানাদার বাহিনী। ঠিক সেই মুহূর্তে ঘোড়াশালে কয়েকটি খণ্ডযুদ্ধ হয় পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিকামী বাঙালীর। বিজয়ের কাছাকাছি সময়ে পাকিস্তানীরা ফিরে যাওয়ার সময় ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশালের আটিয়াগাঁও গ্রামে প্রবেশ করে। গ্রামে প্রবেশ করেই পাকিস্তানিরা আবুল কাসেমের বাড়িতে হত্যাকাণ্ড চালায়। এসময় বাড়িতে থাকা ৪ মাসের শিশু আয়শাসহ হত্যা করা হয় মোকছেদ আলী, মালাবক্স, শাহাজাহান, রহম আলী, আঃ হেকিম, হযরত আলী, আম্বিয়া খাতুন, মজিদা, শাহাজউদ্দিন, নেহাজউদ্দিন ও নেজু সহ প্রায় ১৮ নর-নারীকে। জ্বালিয়ে দেয়া হয় বাড়িঘর। এভাবে শুধুমাত্র আটিয়াগাঁও গ্রামেই ২৫ থেকে ৩০ নারী-পুরুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গুলিতে আহত হয় আরো প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন। হত্যাযজ্ঞের পরের দিনে তাদের অনেককেই গণকবর হিসেবে মাটি দেয়া হয়। সেই গণকবরগুলো আজ অরক্ষিত ঝোপঝাড়ে পরিণত। সরকারের পক্ষ থেকে নেই কোন উদ্যোগ। শহীদ পরিবারের খাতায়ও তাদের নাম আছে কিনা কেউ জানে না। যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সহায়তায় শহীদের প্রতি পরিবারের জন্য দেয়া দুই হাজার করে টাকা দেয়া ছাড়া তাদের ভাগ্যে কিছুই জোটেনি । সরকারের পক্ষ থেকে আটিয়াগাঁও এলাকার শহীদ হযরত আলীর ছেলে মো: হাবিবুল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনীরা আমার বাবা, দাদী ও ফফুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে মা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়ে আমাদের নি:স্ব করে দেয়া হয়েছিল। আমাদের চলার মতো তেমন কিছুই ছিলনা। আশপাশের গ্রামের লোকজন আমাদের চলার পথে সহায়তা করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার আজ ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও কেউ আমাদের খবর নেয়নি।’  এছাড়া শহীদ পরিবারের তালিকায় তাদের নাম আছে কিনা তাও জানেনা তারা।  একই এলাকার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্তার বাবুল জানান, পাক বাহিনীরা এই এলাকায় প্রবেশ করে প্রথমেই আমাদের ঘরে আগুন দেয়। এসময় বাড়িতে যাকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যরা ৪ মাসের শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তবে কয়েকজন বাড়ির পাশে গর্ত করে তাতে লুকিয়ে থেকে কোনক্রমে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থেকে রক্ষা পায়।   আরেক প্রত্যক্ষদর্শী রাহাতুন বেগম জানান, তখন অগ্রহায়ন মাস বাড়ির পাশেই ধানের কাজ করছিলেন। এমন সময় পাক বাহিনীর সদস্যরা এসে বাড়িঘরে আগুন দেয়। আর গুলি করে হত্যা করে যাকে সামনে পায়। পরে নিহতদের গণকবর দেয়া হয়। এখানে এখন ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে। এলাকার শহীদদের গণকবরস্থানে বধ্যভূমি নির্মাণের পাশাপাশি পরিবারগুলোর সহায়তায় সরকারকে পাশে দাড়ানোর দাবি জানান স্থানীয় ঘোড়াশাল পৌরসভা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সাবেক কমান্ডার ও সাবেক স্থানীয় কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক ভূইয়া। ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডির কথা উল্লেখ করে শহীদ পরিবারেরগুলোর স্মৃতি রক্ষার্থে একটি বধ্যভূমি নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান এলাকাবাসী। বিজয়ের ৫৩ বছর পেরিয়ে আজ এলাকাবাসীর দাবি হত্যাযজ্ঞে নিহত শহীদদের তালিকা প্রনয়ন, গণকবর তৈরী করে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ মর্যাদা দেয়া অরবিন্দ রায় ০১৯১৮৭৬৭৬৫৫