সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পটুয়াখালী জেলাধীন গলাচিপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ব্রয়লার বিস্ফোরণে কারখানায় আগুনের ঘটনায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ জনে শ্যামনগর থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ২৪শের ছাত্র-জনতা ছাড়া অন্য কারো প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা নেই, উপদেষ্টা ফওজুল কবীর খান চরের হোগলা পাতার দড়িতে স্বপ্ন বোনেন নারীরা মিঠামইন হাওরে ৫০ একর বোরো জমিতে সমালয় চাষাবাদ অষ্টগ্রামে পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাচনে সভাপতি জাকির হোসেন মুকুল ও সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ঔষধ প্রশাসনের মতবিনিময় সভা বিজয় দিবসে শহীদ স্মৃতি ফলকে চরফ্যাশন বিএনপির শ্রদ্ধা ও র্্যালি জামায়াতে ইসলামী নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৪ইং (মহান বিজয় দিবস) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

লোহাগড়ায় রেস্টুরেন্টের আড়ালে চলছে অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও অশ্লীলতা,

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪
  • ৩৯ বার পঠিত

রাশেদ রাসু, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল

নড়াইলের লোহাগড়া পৌর শহরের লক্ষীপাশা খেয়াঘাট ব্রিজ সংলগ্ন তিন তলা বিল্ডিং এর দ্বিতীয় তলায় পশ্চিম পাশে অবস্থিত কাচ্চি কাবাব রেস্টুরেন্ট। এখানে রেস্টুরেন্টের আড়ালে চলছে বিভিন্ন বয়সী স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের অশ্লীলতা।

খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, লোহাগড়া বাজার ব্রীজ সংলগ্ন একটি তৃতীয় তলা বিল্ডিং এর দ্বিতীয় তলা ভাড়া নিয়ে কাচ্চি কাবাব নামে একটি রেস্টুরেন্ট করেছেন লোহাগড়া পৌর শহরের গোপীনাথপুর গ্রামের কাজী সোহাগ। ওই রেস্টুরেন্টের ভেতরে চারপাশে হার্ডবোর্ড দিয়ে বানানো হয়েছে টংরুম। লোহাগড়া সহ বিভিন্ন এলাকা ইয়াং ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে টংরুমে অশ্লীলতা করার সুযোগ করে দেন রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ। এতে করে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।

এদিকে একই বিল্ডিং এর ৩য় তলায় রয়েছে তাহফিজুল কুরআন মডেল মাদ্রাসা। সেখানে ছোট ছোট বাচ্চাদের কুরআন শিক্ষা দেয়া হয়।
এছাড়া ওই ভবনের নিচতলায় রয়েছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ সমস্ত ব্যবসায়ীরা বলেন, রেস্টুরেন্টের আড়ালে প্রশাসনের নাকের ডগায় এ সমস্ত অনৈতিক কর্মকাণ্ড কিভাবে হয়।

গোপন সূত্রে জানা যায় ওই রেস্টুরেন্টে কিছুদিন পূর্বে শিক্ষার্থী ছেলে ও মেয়ের একটি জুটি এসে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে তারা আবার ও ওই রেস্টুরেন্টে আসে তখন মেয়ের অভিভাবক তাদের লক্ষ্য করে ওখানে যায় এক পর্যায়ে মেয়েটি তাদের সম্পর্কের সব ঘটনা তার অভিভাবক কে খুলে বলে।

পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় ওই ছেলেটি বিবাহিত এবং তার একটি বাচ্চাও রয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে সাংবাদিকরা ওই রেস্টুরেন্টে যান। এবং ওই রেস্টুরেন্ট এর বিভিন্ন টংরুম ঘুরে দেখেন। এ সময় সাংবাদিকরা টংরুমে বিভিন্ন কাগজে লেখা দেখতে পায়, অনুগ্রহ করে মোবাইল ফোন কাউন্টারে জমা রাখুন। এবং ৩০০ টাকার নিচে ফুড অর্ডার নেওয়া হয় না। আরো লেখা দেখা গেছে এখানে ছবি তোলা নিষেধ।

উল্লেখ্য সেখানে লেখা দেখতে পাওয়া যায় অনুগ্রহ করে ১০ মিনিটের মধ্যে খাবার অর্ডার করুন অন্যথায় ঝুল বারান্দায় গিয়ে বসুন। তাহলে কি হচ্ছে ওই টংরুমে?

বুধবার (২২ মে) বিকালে ওই রেস্টুরেন্টে গেলে অন্য আরেক কপত-কপতিদের অশ্লীল অবস্থায় দেখা মেলে। টংরুমে তাদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা সেখান থেকে বের হয়ে যায।

এ বিষয়ে তাহফিজুল কুরআন মডেল মাদ্রাসার শিক্ষকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ব্যবসার আড়ালে অনৈতিক কর্মকান্ড কেউ চালালে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

এ ঘটনায় রেস্টুরেন্ট মালিক সোহাগের সাথে কথা বলে তিনি বলেন, আমার রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকরা কেন গেল। তিনি সাংবাদিকদের নামে জিডি করবে মর্মে ভয় ভীতি দেখান।

এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জহুরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি নিজে বিষয়টি তদন্ত করে দেখব এবং সত্যতা পেলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Facebook Comments Box
এই জাতীয় আরও খবর

ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ আজ ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশাল ট্র্যজেডি দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে নরসিংদীর ঘোড়াশালে আটিয়াগাঁও গ্রামে একই বাড়িতে শিশুসহ ১৮ নর-নারীকে হত্যা করা হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় গ্রামের সকল ঘর-বাড়ি। নির্মম হত্যাযজ্ঞে গ্রামের শিশুসহ প্রায় ২৫ থেকে ৩০জন নারী পুরুষকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানীরা। এই দিনটি আসলে এলাকার মানুষ আজও আৎকে উঠে সেই ভয়াবহ দিনটিকে স্মরণ করে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোন সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের ৯ দিন পূর্বে দেশজুড়ে যখন কোণঠাসা পশ্চিমা হানাদার বাহিনী। ঠিক সেই মুহূর্তে ঘোড়াশালে কয়েকটি খণ্ডযুদ্ধ হয় পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিকামী বাঙালীর। বিজয়ের কাছাকাছি সময়ে পাকিস্তানীরা ফিরে যাওয়ার সময় ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশালের আটিয়াগাঁও গ্রামে প্রবেশ করে। গ্রামে প্রবেশ করেই পাকিস্তানিরা আবুল কাসেমের বাড়িতে হত্যাকাণ্ড চালায়। এসময় বাড়িতে থাকা ৪ মাসের শিশু আয়শাসহ হত্যা করা হয় মোকছেদ আলী, মালাবক্স, শাহাজাহান, রহম আলী, আঃ হেকিম, হযরত আলী, আম্বিয়া খাতুন, মজিদা, শাহাজউদ্দিন, নেহাজউদ্দিন ও নেজু সহ প্রায় ১৮ নর-নারীকে। জ্বালিয়ে দেয়া হয় বাড়িঘর। এভাবে শুধুমাত্র আটিয়াগাঁও গ্রামেই ২৫ থেকে ৩০ নারী-পুরুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গুলিতে আহত হয় আরো প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন। হত্যাযজ্ঞের পরের দিনে তাদের অনেককেই গণকবর হিসেবে মাটি দেয়া হয়। সেই গণকবরগুলো আজ অরক্ষিত ঝোপঝাড়ে পরিণত। সরকারের পক্ষ থেকে নেই কোন উদ্যোগ। শহীদ পরিবারের খাতায়ও তাদের নাম আছে কিনা কেউ জানে না। যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সহায়তায় শহীদের প্রতি পরিবারের জন্য দেয়া দুই হাজার করে টাকা দেয়া ছাড়া তাদের ভাগ্যে কিছুই জোটেনি । সরকারের পক্ষ থেকে আটিয়াগাঁও এলাকার শহীদ হযরত আলীর ছেলে মো: হাবিবুল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনীরা আমার বাবা, দাদী ও ফফুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে মা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়ে আমাদের নি:স্ব করে দেয়া হয়েছিল। আমাদের চলার মতো তেমন কিছুই ছিলনা। আশপাশের গ্রামের লোকজন আমাদের চলার পথে সহায়তা করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার আজ ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও কেউ আমাদের খবর নেয়নি।’  এছাড়া শহীদ পরিবারের তালিকায় তাদের নাম আছে কিনা তাও জানেনা তারা।  একই এলাকার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্তার বাবুল জানান, পাক বাহিনীরা এই এলাকায় প্রবেশ করে প্রথমেই আমাদের ঘরে আগুন দেয়। এসময় বাড়িতে যাকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যরা ৪ মাসের শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তবে কয়েকজন বাড়ির পাশে গর্ত করে তাতে লুকিয়ে থেকে কোনক্রমে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থেকে রক্ষা পায়।   আরেক প্রত্যক্ষদর্শী রাহাতুন বেগম জানান, তখন অগ্রহায়ন মাস বাড়ির পাশেই ধানের কাজ করছিলেন। এমন সময় পাক বাহিনীর সদস্যরা এসে বাড়িঘরে আগুন দেয়। আর গুলি করে হত্যা করে যাকে সামনে পায়। পরে নিহতদের গণকবর দেয়া হয়। এখানে এখন ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে। এলাকার শহীদদের গণকবরস্থানে বধ্যভূমি নির্মাণের পাশাপাশি পরিবারগুলোর সহায়তায় সরকারকে পাশে দাড়ানোর দাবি জানান স্থানীয় ঘোড়াশাল পৌরসভা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সাবেক কমান্ডার ও সাবেক স্থানীয় কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক ভূইয়া। ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডির কথা উল্লেখ করে শহীদ পরিবারেরগুলোর স্মৃতি রক্ষার্থে একটি বধ্যভূমি নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান এলাকাবাসী। বিজয়ের ৫৩ বছর পেরিয়ে আজ এলাকাবাসীর দাবি হত্যাযজ্ঞে নিহত শহীদদের তালিকা প্রনয়ন, গণকবর তৈরী করে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ মর্যাদা দেয়া অরবিন্দ রায় ০১৯১৮৭৬৭৬৫৫