দিনাজপুর (খানসামা) প্রতিনিধিঃ রিশাদ হোসেন
সাদা সোনা খ্যাত রসুন চাষে স্বপ্ন বুনছে শস্যপ্রধান দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার কৃষক-কৃষাণীরা। খরচের তুলনায় দ্বিগুণ লাভ হওয়ায় প্রতি বছর এই উপজেলায় বাড়ছে রসুন চাষ। এখন রসুন রোপণে ব্যস্ত কৃষকরা।
দক্ষিণ বালাপাড়া এলাকার কৃষক সাব্বির হোসেন সম্পদ বলেন, অন্য ফসলের চেয়ে রসুন অত্যন্ত লাভজনক ফসল। এজন্য পূর্বের মত এবছরও দেড় ১ বিঘা জমিতে রসুন রোপণ করতেছি। রোপণের জন্য প্রতি বিঘায় ৭-৮ মণ রসুনের প্রয়োজন হয়। বর্তমানে ভালো রসুনের বীজ ৭-৯ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্রয় করতেছি।
আশাকরি ভালো আবহাওয়া ও ফলন হলে চলতি মৌসুমে দের বিঘা জমিতে
এক-দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাভ হবে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে খানসামা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে রসুন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ১৬৮৪ হেক্টর। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) পর্যন্ত
অর্জন হয়েছে ৭২০ হেক্টর। রসুন চাষে লাভ হওয়ায় গত কয়েক বছরে এই উপজেলায় রসুন চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলার ছাতিয়ানগড়, বালাপাড়া ও গোয়ালডিহি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আমন ধান কর্তন ও মাড়াই শেষে রসুন চাষের জন্য জমি প্রস্তুত, বীজ সংগ্রহ ও রোপণ কাজে পুরোদমে পুরুষদের সাথে নারীরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন।
খামারপাড়া ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শ.ম. জাহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, রসুনের ভালো ফলন পেতে কৃষকদের পরামর্শ ও সহায়তা প্রদানে আমরা কাজ করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, খানসামা উপজেলায় রসুন আবাদ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গত মওসুমেও ভালো দাম পাওয়ায় এবছর লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অধিক জমিতে রসুন চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও এবছরও রসুনে ভালো ফলন পাবেন কৃষক। এইজন্য উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মাঠে রয়েছে।