সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পটুয়াখালী জেলাধীন গলাচিপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ব্রয়লার বিস্ফোরণে কারখানায় আগুনের ঘটনায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ জনে শ্যামনগর থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ২৪শের ছাত্র-জনতা ছাড়া অন্য কারো প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা নেই, উপদেষ্টা ফওজুল কবীর খান চরের হোগলা পাতার দড়িতে স্বপ্ন বোনেন নারীরা মিঠামইন হাওরে ৫০ একর বোরো জমিতে সমালয় চাষাবাদ অষ্টগ্রামে পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাচনে সভাপতি জাকির হোসেন মুকুল ও সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ঔষধ প্রশাসনের মতবিনিময় সভা বিজয় দিবসে শহীদ স্মৃতি ফলকে চরফ্যাশন বিএনপির শ্রদ্ধা ও র্্যালি জামায়াতে ইসলামী নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৪ইং (মহান বিজয় দিবস) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

চার উপজেলায় কে কত ভোট পেলেন।

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ৩১ মে, ২০২৪
  • ৫৩ বার পঠিত

৩১/০৫/২০২৪

বিজয় কর রতন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:- চার উপজেলায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে কিশোরগঞ্জ জেলায় বুধবার (২৯ মে) চারটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলাগুলো হলো মিঠামইন, ইটনা, তাড়াইল ও করিমগঞ্জ। এর মধ্যে মিঠামইন উপজেলায় টানা দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছোট বোন আলহাজ্ব আছিয়া আলম। তিনি ১০ হাজার ৫ ভোটের ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কেন্দ্র থেকে পাওয়া ফল অনুযায়ী, মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে আলহাজ্ব আছিয়া আলম পেয়েছেন ২৩ হাজার ৫৬৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বোরহান উদ্দিন চৌধুরী বুলবুল (আনারস) পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫৬৪ ভোট। এছাড়া ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মো. শাহজাহান মিয়া পেয়েছেন ৮ হাজার ৭০৫ ভোট। হাওরের প্রথম নারী হিসেবে আলহাজ্ব আছিয়া আলম ২০১৯ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মিঠামইন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এদিকে হেভিওয়েট প্রার্থীকে হারিয়ে টানা দ্বি তীয়বারের মতো তাড়াইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টিমনোনীত প্রার্থী মো. জহিরুল ইসলাম ভূইয়া শাহিন (লাঙ্গল)। তিনি ৭ হাজার ৯৪ ভোটের ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কেন্দ্র থেকে পাওয়া ফল অনুযায়ী, লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে মো. জহিরুল ইসলাম ভূইয়া শাহিন পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৭২৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন লাকী (মোটর সাইকেল) পেয়েছেন ৩২ হাজার ৬৩৫ ভোট। ২০১৯ সালের ২৪ মার্চঅনুষ্ঠিত পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথমবারের মতো তাড়াইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন মো. জহিরুল ইসলাম ভূইয়া শাহিন। ওই নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো. আজিজুল হক ভূঞা মোতাহারকে পরাজিত করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচন হয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গিয়াস উদ্দিন লাকী উপজেলা আওয়ামী লীগে র সাধারণ সম্পাদক। ফলে দুটি নির্বাচনে তিনি প্রথমে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে ও এবার সাধারণ সম্পাদককে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। মো. জহিরুল ইসলাম ভূইয়া শাহিন তাড়াইল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির নেতা মরহুম কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া কাঞ্চনের ছেলে। এদিকে করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এডভোকেট মোজাম্মেল হক মাখন (হেলিকপ্টার)। নির্বাচনে তিনি মাত্র ১ হাজার ২৭৬ ভোটের ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কেন্দ্র থেকে পাওয়া ফল অনুযায়ী, হেলিকপ্টা র প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে এডভোকেট মোজাম্মেল হক মাখন পেয়েছেন ২৭ হাজার ৯২৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শফিউল আলম জনি (দোয়াত কলম) পেয়েছেন ২৬ হাজার ৫৪৮ ভোট। এ উপজেলায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী আমজাদ হোসেন খান দিদার (লাঙ্গল) পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৭১ ভোট। এছাড়া কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী ফজলুর রহমান রাজুপেয়েছেন ১১ হাজার ২৫৬ ভোট। করিমগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোট ৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদিকে জেলার ইটনা উপজেলা পরিষদ নির্বা চনে চেয়ারম্যান পদে জয়ের হ্যাটট্রিক করেছেন চৌধুরী কামরুল হাসান। কাপ পিরিচ প্রতীয় নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। এ নিয়ে তিনি টানা তিনবার ইটনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন। কেন্দ্র থেকে পাওয়া ফল অনুযায়ী, নির্বাচনে চৌধুরী কামরুল হাসান ১৮ হাজার ২৭৪ ভো টের ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কাপ পিরিচ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৪৬৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদন্দ্বী এডভোকেট আবুল কাউছার খান মিলকী (মোটর সাইকেল) পেয়েছেন ১৭ হাজার ১৯০ ভোট। এছাড়া এডভোকেট খলিলুর রহমান (আনারস) পেয়েছেন ১২ হাজার ৫২৩ ভোট। ইটনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এই তিনজনসহ মোট পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করেন।

বার্তা প্রেরক
বিজয় কর রতন
দৈনিক সমকাল
মিঠামইন কিশোরগঞ্জ
মোবাইল:-০১৭২৪৩৬২৭৪৪

Facebook Comments Box
এই জাতীয় আরও খবর

ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ আজ ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশাল ট্র্যজেডি দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে নরসিংদীর ঘোড়াশালে আটিয়াগাঁও গ্রামে একই বাড়িতে শিশুসহ ১৮ নর-নারীকে হত্যা করা হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় গ্রামের সকল ঘর-বাড়ি। নির্মম হত্যাযজ্ঞে গ্রামের শিশুসহ প্রায় ২৫ থেকে ৩০জন নারী পুরুষকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানীরা। এই দিনটি আসলে এলাকার মানুষ আজও আৎকে উঠে সেই ভয়াবহ দিনটিকে স্মরণ করে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোন সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের ৯ দিন পূর্বে দেশজুড়ে যখন কোণঠাসা পশ্চিমা হানাদার বাহিনী। ঠিক সেই মুহূর্তে ঘোড়াশালে কয়েকটি খণ্ডযুদ্ধ হয় পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিকামী বাঙালীর। বিজয়ের কাছাকাছি সময়ে পাকিস্তানীরা ফিরে যাওয়ার সময় ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশালের আটিয়াগাঁও গ্রামে প্রবেশ করে। গ্রামে প্রবেশ করেই পাকিস্তানিরা আবুল কাসেমের বাড়িতে হত্যাকাণ্ড চালায়। এসময় বাড়িতে থাকা ৪ মাসের শিশু আয়শাসহ হত্যা করা হয় মোকছেদ আলী, মালাবক্স, শাহাজাহান, রহম আলী, আঃ হেকিম, হযরত আলী, আম্বিয়া খাতুন, মজিদা, শাহাজউদ্দিন, নেহাজউদ্দিন ও নেজু সহ প্রায় ১৮ নর-নারীকে। জ্বালিয়ে দেয়া হয় বাড়িঘর। এভাবে শুধুমাত্র আটিয়াগাঁও গ্রামেই ২৫ থেকে ৩০ নারী-পুরুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গুলিতে আহত হয় আরো প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন। হত্যাযজ্ঞের পরের দিনে তাদের অনেককেই গণকবর হিসেবে মাটি দেয়া হয়। সেই গণকবরগুলো আজ অরক্ষিত ঝোপঝাড়ে পরিণত। সরকারের পক্ষ থেকে নেই কোন উদ্যোগ। শহীদ পরিবারের খাতায়ও তাদের নাম আছে কিনা কেউ জানে না। যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সহায়তায় শহীদের প্রতি পরিবারের জন্য দেয়া দুই হাজার করে টাকা দেয়া ছাড়া তাদের ভাগ্যে কিছুই জোটেনি । সরকারের পক্ষ থেকে আটিয়াগাঁও এলাকার শহীদ হযরত আলীর ছেলে মো: হাবিবুল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনীরা আমার বাবা, দাদী ও ফফুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে মা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়ে আমাদের নি:স্ব করে দেয়া হয়েছিল। আমাদের চলার মতো তেমন কিছুই ছিলনা। আশপাশের গ্রামের লোকজন আমাদের চলার পথে সহায়তা করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার আজ ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও কেউ আমাদের খবর নেয়নি।’  এছাড়া শহীদ পরিবারের তালিকায় তাদের নাম আছে কিনা তাও জানেনা তারা।  একই এলাকার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্তার বাবুল জানান, পাক বাহিনীরা এই এলাকায় প্রবেশ করে প্রথমেই আমাদের ঘরে আগুন দেয়। এসময় বাড়িতে যাকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যরা ৪ মাসের শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তবে কয়েকজন বাড়ির পাশে গর্ত করে তাতে লুকিয়ে থেকে কোনক্রমে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থেকে রক্ষা পায়।   আরেক প্রত্যক্ষদর্শী রাহাতুন বেগম জানান, তখন অগ্রহায়ন মাস বাড়ির পাশেই ধানের কাজ করছিলেন। এমন সময় পাক বাহিনীর সদস্যরা এসে বাড়িঘরে আগুন দেয়। আর গুলি করে হত্যা করে যাকে সামনে পায়। পরে নিহতদের গণকবর দেয়া হয়। এখানে এখন ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে। এলাকার শহীদদের গণকবরস্থানে বধ্যভূমি নির্মাণের পাশাপাশি পরিবারগুলোর সহায়তায় সরকারকে পাশে দাড়ানোর দাবি জানান স্থানীয় ঘোড়াশাল পৌরসভা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সাবেক কমান্ডার ও সাবেক স্থানীয় কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক ভূইয়া। ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডির কথা উল্লেখ করে শহীদ পরিবারেরগুলোর স্মৃতি রক্ষার্থে একটি বধ্যভূমি নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান এলাকাবাসী। বিজয়ের ৫৩ বছর পেরিয়ে আজ এলাকাবাসীর দাবি হত্যাযজ্ঞে নিহত শহীদদের তালিকা প্রনয়ন, গণকবর তৈরী করে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ মর্যাদা দেয়া অরবিন্দ রায় ০১৯১৮৭৬৭৬৫৫