০৬/০৬/২০২৪
বিজয় কর রতন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:- বুধবার দুপুরে বাজিতপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে দেখা হয় তার সাথে। নাতি টিপু সুলতানের কাঁধে ভর করে ভোট দিতে এসেছেন তিনি। বয়সের ভারে ঠিকঠাক কথাও বলতে পারেন না। ছবি তুলতে দেখে নিজেই দাঁড়িয়ে কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। মিছরি মিয়া। বয়স ১১০ বছর। বাজিতপুর উপজেলা সদরের বসন্তপুরে তার বাড়ি। বয়সের ভারে ঠিকঠাক কথাও বলতে পারেন না। ছবি তুলতে দেখে নিজেই দাঁড়িয়ে কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ প্রতিবেদককে তিনি জানান, জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও ভোটাধিকার প্রয়োগের আগ্রহ হারাননি। মিছরি মিয়া বলেন, সারাদিন বাড়িতে বিছানায় শুয়ে থাকি। শুয়ে শুয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছি। নিজে নিজে দাঁড়াতে পারি না। বেশিক্ষণ শুয়ে থাকলেও খারাপ লাগে, আবার বসে থাকলেও ভাল লাগে না। এই অবস্থায় যখন দেখলাম অনেকেই ভোট দিতে যাচ্ছে, তখন নাতিকে বলছি আমাকেও কেন্দ্রে নিয়ে যা। পরে নাতির কাঁধে ভর করে এসে ভোট দিলাম। জীবনের এই অন্তিমকালে এসেও ভোট দিয়ে অত্যন্ত আনন্দিত তিনি। মিছরি মিয়া বলেন, ‘নাতির ভোট শুরু অইছে, আর আমার দিন শেষ। হয়তো এটাই আমার জীবনের শেষ ভোট।’ মিছরি মিয়াকে কাঁধে করে নিয়ে আসা তার নাতি টিপু সুলতান বলেন, আজকে সকাল থেকেই অন্যরা যখন ভোট দিতে আসতেছে সেটা বুঝতে পেরে দাদা আমাকে বলতেছে কেন্দ্রে নিয়ে যেতে। পরে দাদা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অনুরোধে দাদাকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে এসেছি। জীবনের এই অন্তিম মূহূর্তে কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পেরে দাদা অনেক খুশি। দাদার খুশি দেখে আমিও অত্যন্ত আনন্দিত। বাজিতপুর সরকারি কলেজের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কমল রঞ্জন দাস জানান, এই কেন্দ্রে ৩১২৯ জন ভোটার রয়েছেন। তিনি বলেন, মিছরি মিয়া যখন ভোট দিতে এসেছিলেন তখন আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। দূর থেকে ওনার দিকে তাকিয়ে দেখছিলাম যে, শতবর্ষী এই মানুষটার ভোটের প্রতি কত আগ্রহ। তিনি আরও জানান, এ উপজেলায় ২ লাখ ১৩ হাজার ৫৭০ জন ভোটার রয়েছেন। এখানে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, পুরুষ ভাইস-চেয়ারম্যান ৪ জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন।
বার্তা প্রেরক
বিজয় কর রতন
মিঠামইন কিশোরগঞ্জ
মোবাইল:০১৭২৪৩৬৭৪৪