সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পটুয়াখালী জেলাধীন গলাচিপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ব্রয়লার বিস্ফোরণে কারখানায় আগুনের ঘটনায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ জনে শ্যামনগর থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ২৪শের ছাত্র-জনতা ছাড়া অন্য কারো প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা নেই, উপদেষ্টা ফওজুল কবীর খান চরের হোগলা পাতার দড়িতে স্বপ্ন বোনেন নারীরা মিঠামইন হাওরে ৫০ একর বোরো জমিতে সমালয় চাষাবাদ অষ্টগ্রামে পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাচনে সভাপতি জাকির হোসেন মুকুল ও সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ঔষধ প্রশাসনের মতবিনিময় সভা বিজয় দিবসে শহীদ স্মৃতি ফলকে চরফ্যাশন বিএনপির শ্রদ্ধা ও র্্যালি জামায়াতে ইসলামী নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৪ইং (মহান বিজয় দিবস) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

হাটে নয়,ক্রেতার ভিড় খামারে । *ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি কাঙ্খিত দামে মিলছে না পশু*

  • আপডেট সময় : রবিবার, ৯ জুন, ২০২৪
  • ৩৫ বার পঠিত

০৮/০৬/২০২৪

বিজয় কর রতন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ- একেত গরম সেই সাথে কোরবানির পশুর হাটে অনেক ভিড়। সঙ্গে রয়েেেছ মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য। এসব ঝামেলা এ কিশোরগঞ্জে হাওড়ে কোরবানির পশু কিনতে সরাসরি খামারে গৃহস্থের বাড়িতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। পশু ক্রেতারা বলছেন, হাটের ভিড় এড়িয়ে সুস্থ ও সবল পশু দেখেশুনে কিনতে তাঁরা সরাসরি খামারে এসেছেন। খামারিরা বলছেন, গবাদিপশুর খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার ব্যয় বেশি হয়েছে। সে তুলনায় ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন তাঁরা। বাংলাদেশ ডেইরী ফার্মারস এসোসিয়েশন কিশোরগঞ্জ জেলার শাখার সভাপতি আজমল খান বলেন, চলতি বছর দেশীয় গরু দ্বারাই কোরবানি চাহিদা পূরণ হবে এবং ২৭ হাজার ৭৬৩ টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। মিঠামইন উপজেলার মালিউন্দ গ্রামের মা এগ্রো ফার্মের মালিক দুলাল মিয়া জানান, এ বছর তার ফার্মে ২০-১৫ টি গরু রয়েছে যা কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।গরু গুলি তিনি দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করেছেন।ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন তিনি।এলাকার স্থানীয় যুবকেরা তার ফার্ম দেখে উৎসাহিত হচ্ছে বলেও জানান তিনি। খামারিরা বলছেন,বেশির ভাগ খামারি নিজেদের গচ্ছিত পুঁজি দিয়ে খামারে কোরবানির জন্য পশু পালন করেছেন। আবার অনেক খামারি এনজিও বা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েও পশু পালন করেছেন। পশুখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার পশু লালনপালনে ব্যয় ও বেড়ে গেছে। এখন সে অনুযায়ী দাম না পেলে খামারিদের পথে বসতে হবে। মিঠামইন উপজেলার খামারি শহিদ মিয়া জানান, তাঁর খামারে ২২টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে ১২টি এবার কোরবানির হাটে তুলবেন। ভাল দাম পাবেন বলে আশা করছেন তিনি। রে গরু কিনতে আসা আবুল হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, “পশুর হাটগুলোতে এক লাখ টাকায় পাঁচ হাজার টাকা হাসিল দিতে হয় ক্রেতাকে। খামার থেকে গরু কিনলে সেই টাকা দিতে হচ্ছে না। তা ছাড়া সুস্থ ও সবল নিশ্চিত হয়েই গরু কিনছেন তারা। জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃসুভাষ চন্দ্র পন্ডিত জানান, কিশোরগঞ্জ জেলায় এ বছর ২৩ হাজার খামারির মাধ্যমে ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৯৩৩ টি পশু কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে।সর্বমোট পশু প্রস্তুত আছে ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৬৯৬ টি। এর মধ্যে ৬৫১০৫ টি ষাড়,৩১৭০ টি বলদ, ১৬ হাজার ৬০১ টি গাভী, ১ হাজার ৪২৯ টি মহিষ,১ লক্ষ ৮৪ হাজার ১৬৮ টি ছাগল,৪ হাজার ৯২৩ টি ভেড়া কোরবানির জন্য প্রস্তুুত করা হয়েছে। রুগ্ন পশু যাতে বিক্রি করতে না পারে তার জন্য কোরবানির হাটে ৪৭টি ভেটেনারি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। চামড়া ছাড়ানো ও সংরক্ষণের জন্য ২৫০ জন কসাই ও ২৭০ জন মৌসুমী কসাইদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

বার্তা প্রেরক
বিজয় কর রতন
মিঠামইন কিশোরগঞ্জ
মোবাইল:০১৭২৪৩৬৭৪৪

Facebook Comments Box
এই জাতীয় আরও খবর

ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ আজ ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশাল ট্র্যজেডি দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে নরসিংদীর ঘোড়াশালে আটিয়াগাঁও গ্রামে একই বাড়িতে শিশুসহ ১৮ নর-নারীকে হত্যা করা হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় গ্রামের সকল ঘর-বাড়ি। নির্মম হত্যাযজ্ঞে গ্রামের শিশুসহ প্রায় ২৫ থেকে ৩০জন নারী পুরুষকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানীরা। এই দিনটি আসলে এলাকার মানুষ আজও আৎকে উঠে সেই ভয়াবহ দিনটিকে স্মরণ করে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোন সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের ৯ দিন পূর্বে দেশজুড়ে যখন কোণঠাসা পশ্চিমা হানাদার বাহিনী। ঠিক সেই মুহূর্তে ঘোড়াশালে কয়েকটি খণ্ডযুদ্ধ হয় পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিকামী বাঙালীর। বিজয়ের কাছাকাছি সময়ে পাকিস্তানীরা ফিরে যাওয়ার সময় ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশালের আটিয়াগাঁও গ্রামে প্রবেশ করে। গ্রামে প্রবেশ করেই পাকিস্তানিরা আবুল কাসেমের বাড়িতে হত্যাকাণ্ড চালায়। এসময় বাড়িতে থাকা ৪ মাসের শিশু আয়শাসহ হত্যা করা হয় মোকছেদ আলী, মালাবক্স, শাহাজাহান, রহম আলী, আঃ হেকিম, হযরত আলী, আম্বিয়া খাতুন, মজিদা, শাহাজউদ্দিন, নেহাজউদ্দিন ও নেজু সহ প্রায় ১৮ নর-নারীকে। জ্বালিয়ে দেয়া হয় বাড়িঘর। এভাবে শুধুমাত্র আটিয়াগাঁও গ্রামেই ২৫ থেকে ৩০ নারী-পুরুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গুলিতে আহত হয় আরো প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন। হত্যাযজ্ঞের পরের দিনে তাদের অনেককেই গণকবর হিসেবে মাটি দেয়া হয়। সেই গণকবরগুলো আজ অরক্ষিত ঝোপঝাড়ে পরিণত। সরকারের পক্ষ থেকে নেই কোন উদ্যোগ। শহীদ পরিবারের খাতায়ও তাদের নাম আছে কিনা কেউ জানে না। যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সহায়তায় শহীদের প্রতি পরিবারের জন্য দেয়া দুই হাজার করে টাকা দেয়া ছাড়া তাদের ভাগ্যে কিছুই জোটেনি । সরকারের পক্ষ থেকে আটিয়াগাঁও এলাকার শহীদ হযরত আলীর ছেলে মো: হাবিবুল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনীরা আমার বাবা, দাদী ও ফফুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে মা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়ে আমাদের নি:স্ব করে দেয়া হয়েছিল। আমাদের চলার মতো তেমন কিছুই ছিলনা। আশপাশের গ্রামের লোকজন আমাদের চলার পথে সহায়তা করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার আজ ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও কেউ আমাদের খবর নেয়নি।’  এছাড়া শহীদ পরিবারের তালিকায় তাদের নাম আছে কিনা তাও জানেনা তারা।  একই এলাকার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্তার বাবুল জানান, পাক বাহিনীরা এই এলাকায় প্রবেশ করে প্রথমেই আমাদের ঘরে আগুন দেয়। এসময় বাড়িতে যাকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যরা ৪ মাসের শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তবে কয়েকজন বাড়ির পাশে গর্ত করে তাতে লুকিয়ে থেকে কোনক্রমে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থেকে রক্ষা পায়।   আরেক প্রত্যক্ষদর্শী রাহাতুন বেগম জানান, তখন অগ্রহায়ন মাস বাড়ির পাশেই ধানের কাজ করছিলেন। এমন সময় পাক বাহিনীর সদস্যরা এসে বাড়িঘরে আগুন দেয়। আর গুলি করে হত্যা করে যাকে সামনে পায়। পরে নিহতদের গণকবর দেয়া হয়। এখানে এখন ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে। এলাকার শহীদদের গণকবরস্থানে বধ্যভূমি নির্মাণের পাশাপাশি পরিবারগুলোর সহায়তায় সরকারকে পাশে দাড়ানোর দাবি জানান স্থানীয় ঘোড়াশাল পৌরসভা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সাবেক কমান্ডার ও সাবেক স্থানীয় কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক ভূইয়া। ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডির কথা উল্লেখ করে শহীদ পরিবারেরগুলোর স্মৃতি রক্ষার্থে একটি বধ্যভূমি নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান এলাকাবাসী। বিজয়ের ৫৩ বছর পেরিয়ে আজ এলাকাবাসীর দাবি হত্যাযজ্ঞে নিহত শহীদদের তালিকা প্রনয়ন, গণকবর তৈরী করে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ মর্যাদা দেয়া অরবিন্দ রায় ০১৯১৮৭৬৭৬৫৫