রাশেদ রাসু জেলা প্রতিনিধি নড়াইল
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের বর্ষা শুরুতেই মধুমতী নদীর তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের তীব্রতায় ইতোমধ্যে নদী গর্ভে চলে গেছে ফসলি জমি, বাড়ি ঘর, ভিটে মাটি। বর্ষার শুরুতে নদী ভাঙনে চোখের সামনে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ী, শতশত বিঘা আবাদী জমি, গাছপালা এমনকি বিদ্যুৎতের খুঁটি। ভাঙনের মুখে পড়ে বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন অনেকে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের নদী ভাংগন কবলিত বাসিন্দারা।
ভুক্তভোগীরা জানান, একাধিকবার মধুমতি নদীর ভাঙনের শিকার হয়েছেন এখানকার মানুষ। গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড শিয়রবর গ্রামের ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেললেও এবার ভাঙনে ভেসে যাচ্ছে সেগুলো। ফলে আবারও ভাঙনের মুখে পড়েছে তাই ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান চান এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী তোতা মিয়া, সাদ্দাম, আলাউদ্দিন,বালাম,চুন্নুমিয়া,আফজাল মোল্লা, হুমায়ুন কবির, আরফিন মোল্লা, ওসমান মুন্সী জানান, মধুমতি নদীর ভাঙনে তাদের বাড়ি বার বার ভেঙে গেছে নদীগর্ভে। নদী ভাঙতে ভাঙতে নিঃস্ব হয়ে গেছেন তারা। এখন নদীর কিনারে বাড়ি তাদের। যেভাবে নদী ভাঙছে তাতে করে বসতভিটা কখন নদীর পেটে চলে যায় তার ঠিক নেই। এবার বাড়ি ভাঙলে মাথাগোঁজার ঠাঁই নাই।
রামকান্ত পুর গ্রামের তোতা মিয়া জানান, তাদের ৫ বিঘা জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। এ পর্যন্ত ৩ বার ভাঙনের শিকার হয়েছেন তিনি। এবারও ভাঙনের মুখে রয়েছেন।
বৃদ্ধ আরফিন মোল্যা জানান, বসতভিটা ছাড়াও তাদের আবাদি জমি, সুপাড়ি বাগান, পুকুরসহ ভাঙনে ৫ বিঘা জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে অন্যের জমিতে বসবাস করছেন তিনি। সেটিও ভাঙনের মুখে রয়েছে। এরপর স্ত্রী সন্তান নিয়ে কোথায় থাকবেন সে ঠিকানাও নেই তাদের। বলতেই কেঁদে ফেলেন এই বৃদ্ধ। বালাম মোল্লার স্ত্রী তহমিনা জানান, ইতোপূর্বে ২ বার তাদের বসত ভিটা নদীগর্ভে ভেঙে গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আশিকুল আলম জানান, কয়েবার এখানকার মাদরাসা, মসজিদসহ বিভিন্ন বসতভিটা ভাঙনের শিকার হয়েছে। আবারও সেগুলো ভাঙনের মুখে রয়েছে। সরকার যদি স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নেয় তবে নিঃস্ব হয়ে পথে বসতে হবে এখানকার মানুষকে।
এ বিষেয়ে নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি এব্যাপারে উদ্ধোতন কতৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে।