সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পটুয়াখালী জেলাধীন গলাচিপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ব্রয়লার বিস্ফোরণে কারখানায় আগুনের ঘটনায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ জনে শ্যামনগর থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ২৪শের ছাত্র-জনতা ছাড়া অন্য কারো প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা নেই, উপদেষ্টা ফওজুল কবীর খান চরের হোগলা পাতার দড়িতে স্বপ্ন বোনেন নারীরা মিঠামইন হাওরে ৫০ একর বোরো জমিতে সমালয় চাষাবাদ অষ্টগ্রামে পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাচনে সভাপতি জাকির হোসেন মুকুল ও সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ঔষধ প্রশাসনের মতবিনিময় সভা বিজয় দিবসে শহীদ স্মৃতি ফলকে চরফ্যাশন বিএনপির শ্রদ্ধা ও র্্যালি জামায়াতে ইসলামী নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৪ইং (মহান বিজয় দিবস) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যুবলীগ কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ হতে হবে-হুইপ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪
  • ৩১ বার পঠিত

রাশেদ রাসু,নড়াইল প্রতিনিধি,

জাতীয় সংসদের হুইপ ও নড়াইল-২আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা এমপি বলেছেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যুবলীগ কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ হতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। লোহাগড়ার মাটি বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ঘাঁটি উল্লেখ করে তিনি বলেন,প্র্রধানমন্ত্রী আমাকে এই জনপদের কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি আপনাদের পাশে থেকে কাজ করতে চাই।

শনিবার (৬জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে আওয়ামী যুবলীগ লোহাগড়া উপজেলা ও পৌর যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্যবে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা এমপি একথা বলেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো.মাইনুল হোসেন খান নিখিল এমপি তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশ সোনার বাংলায় পরিণত হয়েছে। দেশে আজ গনতন্ত্র উদ্ধার ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সহিংসতাকে একমাত্র রাজনৈতিক কৌশল বলে মনে করে বিএনপি। বিএনপি ও তাদের সহযোগিদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেয়া হবে না ।

এর আগে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন,নড়াইল জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট গাউছুল আজম মাসুদ, সাধারণ সস্পাদক খোকন কুমার সাহা,জাতীয় সংসদের হুইপ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা,সম্মেলনের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো: মাইনুল হোসেন খান নিখিল এমপি, লোহাগড়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ আশরাফুল আলম, সাধারণ সস্পাদক সিকদার নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
লোহাগড়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ আশরাফুল আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নড়াইল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস,সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ,নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান ভূঁইয়া, লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম ফয়জুল হক রোম, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন,সাধারন সম্পাদক ও লোহাগড়া পৌরসভার মেয়র সৈয়দ মসিয়ূর রহমান প্রমূখ। সম্মেলনে সঞ্চালনা করেন উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সিকদার নজরুল ইসলাম। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কমিটি গঠন উপলক্ষে কাউন্সিলরদের মতামত নেয়া হয়। দীর্ঘ ২০বছর পর অনুষ্ঠিত এ সম্মেলন কে কেন্দ্র করে উপজেলা সদরে উৎসবমূখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

Facebook Comments Box
এই জাতীয় আরও খবর

ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ আজ ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশাল ট্র্যজেডি দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে নরসিংদীর ঘোড়াশালে আটিয়াগাঁও গ্রামে একই বাড়িতে শিশুসহ ১৮ নর-নারীকে হত্যা করা হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় গ্রামের সকল ঘর-বাড়ি। নির্মম হত্যাযজ্ঞে গ্রামের শিশুসহ প্রায় ২৫ থেকে ৩০জন নারী পুরুষকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানীরা। এই দিনটি আসলে এলাকার মানুষ আজও আৎকে উঠে সেই ভয়াবহ দিনটিকে স্মরণ করে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোন সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের ৯ দিন পূর্বে দেশজুড়ে যখন কোণঠাসা পশ্চিমা হানাদার বাহিনী। ঠিক সেই মুহূর্তে ঘোড়াশালে কয়েকটি খণ্ডযুদ্ধ হয় পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিকামী বাঙালীর। বিজয়ের কাছাকাছি সময়ে পাকিস্তানীরা ফিরে যাওয়ার সময় ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশালের আটিয়াগাঁও গ্রামে প্রবেশ করে। গ্রামে প্রবেশ করেই পাকিস্তানিরা আবুল কাসেমের বাড়িতে হত্যাকাণ্ড চালায়। এসময় বাড়িতে থাকা ৪ মাসের শিশু আয়শাসহ হত্যা করা হয় মোকছেদ আলী, মালাবক্স, শাহাজাহান, রহম আলী, আঃ হেকিম, হযরত আলী, আম্বিয়া খাতুন, মজিদা, শাহাজউদ্দিন, নেহাজউদ্দিন ও নেজু সহ প্রায় ১৮ নর-নারীকে। জ্বালিয়ে দেয়া হয় বাড়িঘর। এভাবে শুধুমাত্র আটিয়াগাঁও গ্রামেই ২৫ থেকে ৩০ নারী-পুরুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গুলিতে আহত হয় আরো প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন। হত্যাযজ্ঞের পরের দিনে তাদের অনেককেই গণকবর হিসেবে মাটি দেয়া হয়। সেই গণকবরগুলো আজ অরক্ষিত ঝোপঝাড়ে পরিণত। সরকারের পক্ষ থেকে নেই কোন উদ্যোগ। শহীদ পরিবারের খাতায়ও তাদের নাম আছে কিনা কেউ জানে না। যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সহায়তায় শহীদের প্রতি পরিবারের জন্য দেয়া দুই হাজার করে টাকা দেয়া ছাড়া তাদের ভাগ্যে কিছুই জোটেনি । সরকারের পক্ষ থেকে আটিয়াগাঁও এলাকার শহীদ হযরত আলীর ছেলে মো: হাবিবুল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনীরা আমার বাবা, দাদী ও ফফুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে মা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়ে আমাদের নি:স্ব করে দেয়া হয়েছিল। আমাদের চলার মতো তেমন কিছুই ছিলনা। আশপাশের গ্রামের লোকজন আমাদের চলার পথে সহায়তা করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার আজ ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও কেউ আমাদের খবর নেয়নি।’  এছাড়া শহীদ পরিবারের তালিকায় তাদের নাম আছে কিনা তাও জানেনা তারা।  একই এলাকার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্তার বাবুল জানান, পাক বাহিনীরা এই এলাকায় প্রবেশ করে প্রথমেই আমাদের ঘরে আগুন দেয়। এসময় বাড়িতে যাকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যরা ৪ মাসের শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তবে কয়েকজন বাড়ির পাশে গর্ত করে তাতে লুকিয়ে থেকে কোনক্রমে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থেকে রক্ষা পায়।   আরেক প্রত্যক্ষদর্শী রাহাতুন বেগম জানান, তখন অগ্রহায়ন মাস বাড়ির পাশেই ধানের কাজ করছিলেন। এমন সময় পাক বাহিনীর সদস্যরা এসে বাড়িঘরে আগুন দেয়। আর গুলি করে হত্যা করে যাকে সামনে পায়। পরে নিহতদের গণকবর দেয়া হয়। এখানে এখন ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে। এলাকার শহীদদের গণকবরস্থানে বধ্যভূমি নির্মাণের পাশাপাশি পরিবারগুলোর সহায়তায় সরকারকে পাশে দাড়ানোর দাবি জানান স্থানীয় ঘোড়াশাল পৌরসভা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সাবেক কমান্ডার ও সাবেক স্থানীয় কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক ভূইয়া। ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডির কথা উল্লেখ করে শহীদ পরিবারেরগুলোর স্মৃতি রক্ষার্থে একটি বধ্যভূমি নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান এলাকাবাসী। বিজয়ের ৫৩ বছর পেরিয়ে আজ এলাকাবাসীর দাবি হত্যাযজ্ঞে নিহত শহীদদের তালিকা প্রনয়ন, গণকবর তৈরী করে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ মর্যাদা দেয়া অরবিন্দ রায় ০১৯১৮৭৬৭৬৫৫