সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পটুয়াখালী জেলাধীন গলাচিপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ব্রয়লার বিস্ফোরণে কারখানায় আগুনের ঘটনায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ জনে শ্যামনগর থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ২৪শের ছাত্র-জনতা ছাড়া অন্য কারো প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা নেই, উপদেষ্টা ফওজুল কবীর খান চরের হোগলা পাতার দড়িতে স্বপ্ন বোনেন নারীরা মিঠামইন হাওরে ৫০ একর বোরো জমিতে সমালয় চাষাবাদ অষ্টগ্রামে পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাচনে সভাপতি জাকির হোসেন মুকুল ও সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ঔষধ প্রশাসনের মতবিনিময় সভা বিজয় দিবসে শহীদ স্মৃতি ফলকে চরফ্যাশন বিএনপির শ্রদ্ধা ও র্্যালি জামায়াতে ইসলামী নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৪ইং (মহান বিজয় দিবস) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

হাওরে অবৈধ ভাবে বালু উওোলনের মহোৎসব, হুমকিতে তীরবর্তী গ্রাম।

  • আপডেট সময় : সোমবার, ৮ জুলাই, ২০২৪
  • ৩৮ বার পঠিত

বিজয় কর রতন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:- কিশোরগঞ্জের নিকলীও মিঠামইন উপজেলার সীমানায় ঘোড়াউএা ও ধনু নদী থেকে ড্রেজার মোশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উওোলনের মহোৎসব চলছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে নদীর তীরবর্তী গ্রাম,ফসলী জমি। অবৈধ ভাবে বালু উওোলন বন্ধে জরুরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,বছরের পর বছর স্হানীয় প্রভাবশালী মহল ও প্রশাসনের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় নানা ভাবে বালু উওোলন করে আসছে।বালু উওোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর শতাধিক কৃষকের স্বাক্ষর সহ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।জেলা প্রশাসন সূএে জানা যায়,জেলার ১ হাজার ৪৭০বর্গ কিলোমিটার হাওর রয়েছে। যা জেলা মোট আয়তনের অর্ধেকের বেশি। এর মধ্যে রয়েছে কালনী,কুশিয়ারা,ধনু,ঝিনুক,ঘোড়াউএা,মেঘনা সহ ছোট বড় ১৫ টি নদী।উপজেলার শিংপুর ইউনিয়নের গোড়াদিঘা গ্রামের স্হানীয় বাসিন্দা রতন মিয়া,সবুজ মিয়া, হারিছ মিয়া,মতি মিয়াও কতুজ আলীর সাথে কথা বলে জানা গেছে সারা বছরই নিকলীও মিঠামইনের সীমানার ধনু নদী থেকে ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে অবৈধ ভাবে বালু উওোলন করা হয়। এতে করে নিকলী উপজেলার শিংপুর গোড়াদিঘা হাওর পাড়ের গ্রাম ও ফসলী জমি ভাঙ্গন দেখা দেয়। নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে কৃষি জমি ও বসতভিটা। নদী ভাঙ্গনে অনেকই ঘর বাড়ি হারিয়ে দেশের বিভিন্ন শহরে ভাসমান অবস্থায় বসবাস করছে।অবৈধ ভাবে বালু উওোলনে বাঁধা দিলে নানান নির্যাতনের স্বীকার হন। ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী থেকে বালু উওোলনের কারণে নদীর তীর ভেঙ্গে যাচ্ছে। ইতি মধ্যে অনেকের বাড়ি ঘর ভেঙ্গে গেছে। শনিবার সরজমিনে ধনু নদী গিয়ে দেখা গেছে, দুটি ড্রেজার মেশিন নদীতে বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উওোলন করা হচ্ছে ছবি তুলতে গেলে তারা নানান ভাবে হুমকি দেয়।এসকল বালু ট্রলী দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হচ্ছে গোড়াদিঘা গ্রামের পাশে ধনু নদীতে ফসলী জমিও বিদ্যুৎ এর খুঁটি হুমকির মুখে রয়েছে। উওোলন করা বালু শ্রমিকরা বিক্রির জন্য বুলগেডে তুলে দিচ্ছে। এসময় ড্রেজারের কয়েকজন শ্রমিককে বালু উওোলনের অনুমোদন রয়েছে কিনা জানতে চাইলে কোনো উওর দিতে পারেনি।তারা বলেন, আমরা দৈনিক হাজিরায় কাজ করি আমরা এসব বলতে পারবো না।তবে মাঝে মাঝে ছোট নৌকা লইয়া ড্রেজারের মালিকের কাছ থেকে কারা যেনো টাকা লইয়া যায়। নিকলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া বলেন,তিনি লিখিত অভিযোগটি পেয়েছেন বলে জানান।প্রত্যন্ত হাওরের দূর্গম এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্হার প্রতিকূলতার সুযোগ নিয়ে প্রশাসনের সাথে লুকোচুরি খেলায় মেতে উঠেন বালু উওোলন কারিরা।তবে বালু উওোলন কারিরা যতই প্রভাবশালী হোক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেওয়া হবে।অন্য দিকে একই কায়দায় মেঘনা ও কালনী থেকে সরকারি বালু দাবি করে অবৈধ ভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ বালু উওোলন করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে। এব্যাপারে অষ্টগ্রাম উপজেলার আবদুল্লাহ পুরের চেয়ারম্যান আনোয়ার খাঁ অষ্টগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেছেন।

বার্তা প্রেরক
বিজয় কর রতন
দৈনিক সমকাল
মিঠামইন কিশোরগঞ্জ
মোবাইল০১৭২৪৩৬২৭৪৪

Facebook Comments Box
এই জাতীয় আরও খবর

ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ আজ ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশাল ট্র্যজেডি দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে নরসিংদীর ঘোড়াশালে আটিয়াগাঁও গ্রামে একই বাড়িতে শিশুসহ ১৮ নর-নারীকে হত্যা করা হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় গ্রামের সকল ঘর-বাড়ি। নির্মম হত্যাযজ্ঞে গ্রামের শিশুসহ প্রায় ২৫ থেকে ৩০জন নারী পুরুষকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানীরা। এই দিনটি আসলে এলাকার মানুষ আজও আৎকে উঠে সেই ভয়াবহ দিনটিকে স্মরণ করে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোন সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের ৯ দিন পূর্বে দেশজুড়ে যখন কোণঠাসা পশ্চিমা হানাদার বাহিনী। ঠিক সেই মুহূর্তে ঘোড়াশালে কয়েকটি খণ্ডযুদ্ধ হয় পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিকামী বাঙালীর। বিজয়ের কাছাকাছি সময়ে পাকিস্তানীরা ফিরে যাওয়ার সময় ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশালের আটিয়াগাঁও গ্রামে প্রবেশ করে। গ্রামে প্রবেশ করেই পাকিস্তানিরা আবুল কাসেমের বাড়িতে হত্যাকাণ্ড চালায়। এসময় বাড়িতে থাকা ৪ মাসের শিশু আয়শাসহ হত্যা করা হয় মোকছেদ আলী, মালাবক্স, শাহাজাহান, রহম আলী, আঃ হেকিম, হযরত আলী, আম্বিয়া খাতুন, মজিদা, শাহাজউদ্দিন, নেহাজউদ্দিন ও নেজু সহ প্রায় ১৮ নর-নারীকে। জ্বালিয়ে দেয়া হয় বাড়িঘর। এভাবে শুধুমাত্র আটিয়াগাঁও গ্রামেই ২৫ থেকে ৩০ নারী-পুরুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গুলিতে আহত হয় আরো প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন। হত্যাযজ্ঞের পরের দিনে তাদের অনেককেই গণকবর হিসেবে মাটি দেয়া হয়। সেই গণকবরগুলো আজ অরক্ষিত ঝোপঝাড়ে পরিণত। সরকারের পক্ষ থেকে নেই কোন উদ্যোগ। শহীদ পরিবারের খাতায়ও তাদের নাম আছে কিনা কেউ জানে না। যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সহায়তায় শহীদের প্রতি পরিবারের জন্য দেয়া দুই হাজার করে টাকা দেয়া ছাড়া তাদের ভাগ্যে কিছুই জোটেনি । সরকারের পক্ষ থেকে আটিয়াগাঁও এলাকার শহীদ হযরত আলীর ছেলে মো: হাবিবুল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনীরা আমার বাবা, দাদী ও ফফুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে মা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়ে আমাদের নি:স্ব করে দেয়া হয়েছিল। আমাদের চলার মতো তেমন কিছুই ছিলনা। আশপাশের গ্রামের লোকজন আমাদের চলার পথে সহায়তা করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার আজ ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও কেউ আমাদের খবর নেয়নি।’  এছাড়া শহীদ পরিবারের তালিকায় তাদের নাম আছে কিনা তাও জানেনা তারা।  একই এলাকার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্তার বাবুল জানান, পাক বাহিনীরা এই এলাকায় প্রবেশ করে প্রথমেই আমাদের ঘরে আগুন দেয়। এসময় বাড়িতে যাকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যরা ৪ মাসের শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তবে কয়েকজন বাড়ির পাশে গর্ত করে তাতে লুকিয়ে থেকে কোনক্রমে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থেকে রক্ষা পায়।   আরেক প্রত্যক্ষদর্শী রাহাতুন বেগম জানান, তখন অগ্রহায়ন মাস বাড়ির পাশেই ধানের কাজ করছিলেন। এমন সময় পাক বাহিনীর সদস্যরা এসে বাড়িঘরে আগুন দেয়। আর গুলি করে হত্যা করে যাকে সামনে পায়। পরে নিহতদের গণকবর দেয়া হয়। এখানে এখন ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে। এলাকার শহীদদের গণকবরস্থানে বধ্যভূমি নির্মাণের পাশাপাশি পরিবারগুলোর সহায়তায় সরকারকে পাশে দাড়ানোর দাবি জানান স্থানীয় ঘোড়াশাল পৌরসভা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সাবেক কমান্ডার ও সাবেক স্থানীয় কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক ভূইয়া। ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডির কথা উল্লেখ করে শহীদ পরিবারেরগুলোর স্মৃতি রক্ষার্থে একটি বধ্যভূমি নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান এলাকাবাসী। বিজয়ের ৫৩ বছর পেরিয়ে আজ এলাকাবাসীর দাবি হত্যাযজ্ঞে নিহত শহীদদের তালিকা প্রনয়ন, গণকবর তৈরী করে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ মর্যাদা দেয়া অরবিন্দ রায় ০১৯১৮৭৬৭৬৫৫