সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পটুয়াখালী জেলাধীন গলাচিপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ব্রয়লার বিস্ফোরণে কারখানায় আগুনের ঘটনায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ জনে শ্যামনগর থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ২৪শের ছাত্র-জনতা ছাড়া অন্য কারো প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা নেই, উপদেষ্টা ফওজুল কবীর খান চরের হোগলা পাতার দড়িতে স্বপ্ন বোনেন নারীরা মিঠামইন হাওরে ৫০ একর বোরো জমিতে সমালয় চাষাবাদ অষ্টগ্রামে পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাচনে সভাপতি জাকির হোসেন মুকুল ও সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ঔষধ প্রশাসনের মতবিনিময় সভা বিজয় দিবসে শহীদ স্মৃতি ফলকে চরফ্যাশন বিএনপির শ্রদ্ধা ও র্্যালি জামায়াতে ইসলামী নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৪ইং (মহান বিজয় দিবস) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদ সভা অনুষ্ঠিন ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে

  • আপডেট সময় : শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ২৫ বার পঠিত

মো: সোহেল
ভোলা জেলা প্রতিনিধিঃ

ভোলা জেলা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মধ্যে অন্য রকম সংগঠন পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদ সভা অনুষ্ঠিত ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে (২০ সেপ্টেম্বর) রোজ শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪ ঘটিকার সময় ভোলা সদর উপজেলায় বিসিক শিল্প মালিক সমিতি কার্যালয়ে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গড়বো সমাজ গড়বো দেশ, মানবতার বাংলাদেশ এই স্লোগানকে সামনে রেখে উক্ত আয়োজনের সভাপতিত্ব করেছে সংগঠনটির সভাপতি মো: নেওয়াজ শরীফ ও বিডি ক্লিন ভোলা জেলার সমন্বয়াক শিমুল হাওলাদার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন।
প্রথান অতিথি সহ বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন মোঃ আনোয়ার হোসেন সহ-কারী অধ্যাপক (বাংলা) আলতাজের রহমান ডিগ্রি কলেজ, বিশেষ অতিথি মোঃ রফিকুল ইসলাম সমাজসেবক, এডভোকেট এমদাদুল হাসান ইমরান, মোঃ বাবুল সদ্দার সাধারণ সম্পাদক (শিল্প মালিক সমিতি), মোঃ মামুন রশিদ প্রভাষক আলতাজের রহমান ডিগ্রি কলেজ, আব্দুল মালেক প্রভাষক আলতাজের রহমান ডিগ্রি কলেজ এসকল সম্মানিত অতিথিবৃন্দরা বলেন, স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ছাত্রসমাজ সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতে পারে। ছাত্রজীবনে প্রচুর ছুটি থাকে, পরীক্ষার শেষে বেশ কিছুটা দীর্ঘ সময় পাওয়া যায়। লেখাপড়ার পাশাপাশি কিছু সময় বের করেও নেওয়া সম্ভব। এভাবে প্রাপ্ত সময় কাজে লাগিয়ে ছাত্ররা জনকল্যাণমূলক কাজে আত্মনিয়োগ বা নিজের সামর্থের মধ্যে জনসেবায় নিয়োজিত হতে পারে। সমাজকল্যাণ সাধনকে ছাত্রদের কর্তব্য বিবেচনা করা দরকার। ছাত্রজীবনে দেশাত্মবোধ চর্চা এবং তার পরিচয় দেওয়া ছাত্রদের কর্তব্য। শিক্ষাকে জীবনঘনিষ্ঠ করে রূপান্তরিত করা দরকার, যার মাধ্যমে একজন মানুষ নিজের ও জাতির জন্য সম্পদ বলে বিবেচিত হতে পারে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবামূলক ফোরামের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা এই দায়িত্ব পালন করতে পারে। স্বেচ্ছাসেবার ধারণা শিশু-কিশোরদের মনে বিদ্যালয় থেকেই বপন করে দিতে হবে। বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজেও উৎসাহিত করতে হবে। শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবার ধারণা উপ্ত হলে পরবর্তীকালে সেই শিক্ষিত যুবকটি সমাজের অনেক কল্যাণ সাধন করতে পারে। বলে জানান আয়োজনে অতিথিবৃন্দরা।
পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থা’র সভাপতি মো:নেওয়াজ শরীফ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মাকসুদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক খায়রুল নেসা লিমা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো:ইসমাইল মান্না, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ অলিউল্লাহ খান ফাহিম, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মুশফিকুল আলম, অর্থ সম্পাদক মো:তানভির তারেক, সহ-অর্থ সম্পাদক মোঃ ওমর ফারুক, দপ্তর সম্পাদ মো:আলাউদ্দিন, যুগ্ন দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক মোঃ তামিম হায়দার, প্রচার সম্পাদক মোঃ সোহেল, যুগ্ন প্রচার সম্পাদক মোঃ মমিন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো:ফইরুল আলম সাব্বির, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আঃ আজিজ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মুহাঃ ইসরাফিল, যুগ্ম ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আবু নাইম,আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জুয়েল রানা, যুগ্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মামুন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আমেনা খানম, যুগ্ম মহিলা বিষয়ক সম্পাদক তাছলিমা বেগম, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রিপন, যুগ্ম সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস, শিশু বিষয়ক সম্পাদক বিবি আয়শা, দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল হোসেন, যুগ্ন দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সাকিবুল হাসান মিজি, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নাইম হোসেন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মিতু রানী মজুমদার, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক তানজিল হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক আবব্দুর রহমান,
ব্লাড ডোনেট বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ নূর নবী প্রমূখ।এ সময় উপস্থিত ছিলেন পত্রিকার সাংবাদিক ও অনলাইন মিডিয়া সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

Facebook Comments Box
এই জাতীয় আরও খবর

ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ আজ ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশাল ট্র্যজেডি দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে নরসিংদীর ঘোড়াশালে আটিয়াগাঁও গ্রামে একই বাড়িতে শিশুসহ ১৮ নর-নারীকে হত্যা করা হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় গ্রামের সকল ঘর-বাড়ি। নির্মম হত্যাযজ্ঞে গ্রামের শিশুসহ প্রায় ২৫ থেকে ৩০জন নারী পুরুষকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানীরা। এই দিনটি আসলে এলাকার মানুষ আজও আৎকে উঠে সেই ভয়াবহ দিনটিকে স্মরণ করে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোন সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের ৯ দিন পূর্বে দেশজুড়ে যখন কোণঠাসা পশ্চিমা হানাদার বাহিনী। ঠিক সেই মুহূর্তে ঘোড়াশালে কয়েকটি খণ্ডযুদ্ধ হয় পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিকামী বাঙালীর। বিজয়ের কাছাকাছি সময়ে পাকিস্তানীরা ফিরে যাওয়ার সময় ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশালের আটিয়াগাঁও গ্রামে প্রবেশ করে। গ্রামে প্রবেশ করেই পাকিস্তানিরা আবুল কাসেমের বাড়িতে হত্যাকাণ্ড চালায়। এসময় বাড়িতে থাকা ৪ মাসের শিশু আয়শাসহ হত্যা করা হয় মোকছেদ আলী, মালাবক্স, শাহাজাহান, রহম আলী, আঃ হেকিম, হযরত আলী, আম্বিয়া খাতুন, মজিদা, শাহাজউদ্দিন, নেহাজউদ্দিন ও নেজু সহ প্রায় ১৮ নর-নারীকে। জ্বালিয়ে দেয়া হয় বাড়িঘর। এভাবে শুধুমাত্র আটিয়াগাঁও গ্রামেই ২৫ থেকে ৩০ নারী-পুরুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গুলিতে আহত হয় আরো প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন। হত্যাযজ্ঞের পরের দিনে তাদের অনেককেই গণকবর হিসেবে মাটি দেয়া হয়। সেই গণকবরগুলো আজ অরক্ষিত ঝোপঝাড়ে পরিণত। সরকারের পক্ষ থেকে নেই কোন উদ্যোগ। শহীদ পরিবারের খাতায়ও তাদের নাম আছে কিনা কেউ জানে না। যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সহায়তায় শহীদের প্রতি পরিবারের জন্য দেয়া দুই হাজার করে টাকা দেয়া ছাড়া তাদের ভাগ্যে কিছুই জোটেনি । সরকারের পক্ষ থেকে আটিয়াগাঁও এলাকার শহীদ হযরত আলীর ছেলে মো: হাবিবুল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনীরা আমার বাবা, দাদী ও ফফুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে মা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়ে আমাদের নি:স্ব করে দেয়া হয়েছিল। আমাদের চলার মতো তেমন কিছুই ছিলনা। আশপাশের গ্রামের লোকজন আমাদের চলার পথে সহায়তা করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার আজ ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও কেউ আমাদের খবর নেয়নি।’  এছাড়া শহীদ পরিবারের তালিকায় তাদের নাম আছে কিনা তাও জানেনা তারা।  একই এলাকার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্তার বাবুল জানান, পাক বাহিনীরা এই এলাকায় প্রবেশ করে প্রথমেই আমাদের ঘরে আগুন দেয়। এসময় বাড়িতে যাকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যরা ৪ মাসের শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তবে কয়েকজন বাড়ির পাশে গর্ত করে তাতে লুকিয়ে থেকে কোনক্রমে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থেকে রক্ষা পায়।   আরেক প্রত্যক্ষদর্শী রাহাতুন বেগম জানান, তখন অগ্রহায়ন মাস বাড়ির পাশেই ধানের কাজ করছিলেন। এমন সময় পাক বাহিনীর সদস্যরা এসে বাড়িঘরে আগুন দেয়। আর গুলি করে হত্যা করে যাকে সামনে পায়। পরে নিহতদের গণকবর দেয়া হয়। এখানে এখন ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে। এলাকার শহীদদের গণকবরস্থানে বধ্যভূমি নির্মাণের পাশাপাশি পরিবারগুলোর সহায়তায় সরকারকে পাশে দাড়ানোর দাবি জানান স্থানীয় ঘোড়াশাল পৌরসভা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সাবেক কমান্ডার ও সাবেক স্থানীয় কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক ভূইয়া। ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডির কথা উল্লেখ করে শহীদ পরিবারেরগুলোর স্মৃতি রক্ষার্থে একটি বধ্যভূমি নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান এলাকাবাসী। বিজয়ের ৫৩ বছর পেরিয়ে আজ এলাকাবাসীর দাবি হত্যাযজ্ঞে নিহত শহীদদের তালিকা প্রনয়ন, গণকবর তৈরী করে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ মর্যাদা দেয়া অরবিন্দ রায় ০১৯১৮৭৬৭৬৫৫