মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
শ্যামনগরে গাজা সহ বউ শাশুড়ির আটক পটুয়াখালী জেলাধীন গলাচিপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ব্রয়লার বিস্ফোরণে কারখানায় আগুনের ঘটনায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ জনে শ্যামনগর থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ২৪শের ছাত্র-জনতা ছাড়া অন্য কারো প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা নেই, উপদেষ্টা ফওজুল কবীর খান চরের হোগলা পাতার দড়িতে স্বপ্ন বোনেন নারীরা মিঠামইন হাওরে ৫০ একর বোরো জমিতে সমালয় চাষাবাদ অষ্টগ্রামে পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাচনে সভাপতি জাকির হোসেন মুকুল ও সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ঔষধ প্রশাসনের মতবিনিময় সভা বিজয় দিবসে শহীদ স্মৃতি ফলকে চরফ্যাশন বিএনপির শ্রদ্ধা ও র্্যালি

ইটনায় যুবদল নেতার বিরুদ্ধে জলমহল দখলের মিথ্যা অভিযোগের বিরদ্ধে প্রতিবাদ সভা

  • আপডেট সময় : বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২৫ বার পঠিত

বিজয় কর রতন
মিঠামইন (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:-

দৈনিক সমকাল পত্রিকায় ইটনায় যুবদল নেতার বিরুদ্ধে খাল দখলের অভিযোগ, পাউবোর বাধ কেটে মাছ শিকার, শিরোনামে ইটনা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব তানজির সিদ্দিকী রিয়াদ সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট দাবী করে গতকাল বুধবার স্থানীয় বিএনপি কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জানা যায়, ইটনা উপজেলার বাদলা ইউনিয়নের থানেশ্বর গ্রামের শিজলীর খাল নামক একটি খাল রয়েছে। যা থানেশ্বর গ্রামের উন্নয়নের জন্য , থানেশ্বর গ্রাম উন্নয়ন কমিটির মাধ্যমে প্রতিবছর উন্মুক্ত নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে ইজারা দেওয়া হয়। ইজারা হইতে প্রাপ্ত টাকা গ্রামের স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসায় অনুদান হিসেবে ও রাস্তা ঘাট নির্মাণে ব্যয় হয়। উক্ত গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সাবেক সভাপতি ছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুল হাসান, তিনি ৫ আগষ্ট, ২০২৪ এর পর হইতে বিভিন্ন মামলার আসামি হওয়ায় পলাতক এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ইয়াকুব আলী ভূইয়া, তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে গুরুতর অসুস্থ থাকায় সম্পূর্ণ শয্যাশায়ী। ক্যাশিয়ার ছিলেন থানেশ্বর দাখিল মাদ্রাসার সাবেক সুপার সৈয়দ শাহীমুল ইমাম, তিনি চাকরি হইতে অবসরে যাওয়ায় বর্তমানে হবিগঞ্জে নিজ গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করায় কমিটির কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এমতাবস্থায় গ্রামের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে ও খাল ইজারা দেওয়ার উপযুক্ত সময় অতিবাহিত হওয়ায় গ্রামবাসী গ্রামের তিনটি মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সাধারণ সভা আহবান করে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ইজারা ও নতুন কমিটি গঠন করে। উক্ত উন্মুক্ত নিলামে ১১ জন দরদাতা অংশগ্রহণ করে। তারা প্রত্যেকেই ৫০ হাজার টাকা করে বিটমানি প্রদান করে। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে জনৈক মো: আতাউল্লাহ ১১,৫৬,০০০/- টাকায় এক বছরের জন্য ইজারা প্রাপ্ত হয়। এতদবিষয়ে ইটনা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব তানজির সিদ্দিকী রিয়াদ এর কোন সম্পৃক্ততা নেই। তিনি নিলামেও উপস্থিত ছিলেন না এবং কমিটিতে ও নেই। আল মোজাহিদুল ইসলাম ভুইয়ার খাল দখলের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। উক্ত খালের আসেপাশে আল মুজাহিদুল ইসলাম ভুইয়ার কোন জমিজমাও নেই। আল মুজাহিদুল ইসলাম ভুইয়া একজন মাদকসেবি এবং সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক, তিনি সহ আরও কতিপয় উগ্রবাদী সন্রাসি প্রকৃতির লোক জোরেবলে শিজলীর খালের দখল নিতে চায় এবং বিনা ইজারায় ভোগ করতে চায়। আল মুজাহিদুল ইসলাম ভুইয়ার এমন অসত উদ্দেশ্য গ্রামবাসী কখনো মেনে নিবে না। তাই আমরা সাধারণ গ্রামবাসী সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট প্রতিবেদনে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে উক্ত সংবাদ প্রত্যাহারের দাবি জানাই। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি এসএম কামাল হোসেন, সেক্রেটারি সিদ্দিকুজ্জামান ঠাকুর স্বপন, ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজাদুর রহমান সুজন, কৃষকদলের দলের সদস্য সচিব মাহফুজ মিয়া, বাদলা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, নাজিমউদ্দিন ভুঁইয়া প্রমুখ।

Facebook Comments Box
এই জাতীয় আরও খবর

ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ আজ ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশাল ট্র্যজেডি দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে নরসিংদীর ঘোড়াশালে আটিয়াগাঁও গ্রামে একই বাড়িতে শিশুসহ ১৮ নর-নারীকে হত্যা করা হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় গ্রামের সকল ঘর-বাড়ি। নির্মম হত্যাযজ্ঞে গ্রামের শিশুসহ প্রায় ২৫ থেকে ৩০জন নারী পুরুষকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানীরা। এই দিনটি আসলে এলাকার মানুষ আজও আৎকে উঠে সেই ভয়াবহ দিনটিকে স্মরণ করে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোন সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের ৯ দিন পূর্বে দেশজুড়ে যখন কোণঠাসা পশ্চিমা হানাদার বাহিনী। ঠিক সেই মুহূর্তে ঘোড়াশালে কয়েকটি খণ্ডযুদ্ধ হয় পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিকামী বাঙালীর। বিজয়ের কাছাকাছি সময়ে পাকিস্তানীরা ফিরে যাওয়ার সময় ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশালের আটিয়াগাঁও গ্রামে প্রবেশ করে। গ্রামে প্রবেশ করেই পাকিস্তানিরা আবুল কাসেমের বাড়িতে হত্যাকাণ্ড চালায়। এসময় বাড়িতে থাকা ৪ মাসের শিশু আয়শাসহ হত্যা করা হয় মোকছেদ আলী, মালাবক্স, শাহাজাহান, রহম আলী, আঃ হেকিম, হযরত আলী, আম্বিয়া খাতুন, মজিদা, শাহাজউদ্দিন, নেহাজউদ্দিন ও নেজু সহ প্রায় ১৮ নর-নারীকে। জ্বালিয়ে দেয়া হয় বাড়িঘর। এভাবে শুধুমাত্র আটিয়াগাঁও গ্রামেই ২৫ থেকে ৩০ নারী-পুরুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গুলিতে আহত হয় আরো প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন। হত্যাযজ্ঞের পরের দিনে তাদের অনেককেই গণকবর হিসেবে মাটি দেয়া হয়। সেই গণকবরগুলো আজ অরক্ষিত ঝোপঝাড়ে পরিণত। সরকারের পক্ষ থেকে নেই কোন উদ্যোগ। শহীদ পরিবারের খাতায়ও তাদের নাম আছে কিনা কেউ জানে না। যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সহায়তায় শহীদের প্রতি পরিবারের জন্য দেয়া দুই হাজার করে টাকা দেয়া ছাড়া তাদের ভাগ্যে কিছুই জোটেনি । সরকারের পক্ষ থেকে আটিয়াগাঁও এলাকার শহীদ হযরত আলীর ছেলে মো: হাবিবুল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনীরা আমার বাবা, দাদী ও ফফুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে মা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়ে আমাদের নি:স্ব করে দেয়া হয়েছিল। আমাদের চলার মতো তেমন কিছুই ছিলনা। আশপাশের গ্রামের লোকজন আমাদের চলার পথে সহায়তা করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার আজ ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও কেউ আমাদের খবর নেয়নি।’  এছাড়া শহীদ পরিবারের তালিকায় তাদের নাম আছে কিনা তাও জানেনা তারা।  একই এলাকার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্তার বাবুল জানান, পাক বাহিনীরা এই এলাকায় প্রবেশ করে প্রথমেই আমাদের ঘরে আগুন দেয়। এসময় বাড়িতে যাকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যরা ৪ মাসের শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তবে কয়েকজন বাড়ির পাশে গর্ত করে তাতে লুকিয়ে থেকে কোনক্রমে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থেকে রক্ষা পায়।   আরেক প্রত্যক্ষদর্শী রাহাতুন বেগম জানান, তখন অগ্রহায়ন মাস বাড়ির পাশেই ধানের কাজ করছিলেন। এমন সময় পাক বাহিনীর সদস্যরা এসে বাড়িঘরে আগুন দেয়। আর গুলি করে হত্যা করে যাকে সামনে পায়। পরে নিহতদের গণকবর দেয়া হয়। এখানে এখন ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে। এলাকার শহীদদের গণকবরস্থানে বধ্যভূমি নির্মাণের পাশাপাশি পরিবারগুলোর সহায়তায় সরকারকে পাশে দাড়ানোর দাবি জানান স্থানীয় ঘোড়াশাল পৌরসভা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সাবেক কমান্ডার ও সাবেক স্থানীয় কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক ভূইয়া। ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডির কথা উল্লেখ করে শহীদ পরিবারেরগুলোর স্মৃতি রক্ষার্থে একটি বধ্যভূমি নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান এলাকাবাসী। বিজয়ের ৫৩ বছর পেরিয়ে আজ এলাকাবাসীর দাবি হত্যাযজ্ঞে নিহত শহীদদের তালিকা প্রনয়ন, গণকবর তৈরী করে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ মর্যাদা দেয়া অরবিন্দ রায় ০১৯১৮৭৬৭৬৫৫