বিজয় কর রতন
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:-
অষ্টগ্রামে হাওরে ২৯ হাজার হেক্টর আবাদি কৃষি জমি পানি বন্ধি, নামছে না পানি বিপাকে কৃষক। অক্টোবর মাসের ১ তারিখ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত হাওরের বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার চিরাচরিত প্রবণতা রয়েছে। এ সময় হাওরের কৃষি জমি শুকিয়ে গেলে হাওরের কৃষকেরা পুরোধামে তাদের রবিশস্য ফসল চাষ করে থাকেন। কিন্তু কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিটামইন উপজেলা এই বিশাল হাওর জুড়ে রয়েছে প্রায় ৯৩ হাজার কৃষকের ৮০হাজার ৮শত ৪ হেক্টর জমি। যার উৎপাদিত ফসল বোরো ধানের পরিমাণ ৩লক্ষ ১৯হাজার ৭শত ৭৫ মে:টন, যা হাওরের চাহিদা মিটিয়ে দেশের অধিকাংশ জনগণের খাবারের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। সরজমিনে রবিবার বিকালে অষ্টগ্রামের হাওড়ে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়। এই হাওরে বর্তমান সময়ে বর্ষার পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় পুরো হাওর জুড়ে আটকে পড়েছে বর্ষার পানি। যার কারনে পিছনে পড়ে গেছে রবিশস্য ভুট্টা, শস্য, বাদাম, মাসকালাই, আলু, সবজির মত অসংখ্য জাতের শস্য। এই পানি অচিরেই নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না হলে হাওরের কৃষকের ঘরে একমুঠো রবিশস্য ও ধান উৎপাদনের কোন ব্যবস্থা থাকবে না। বিপাকে পড়ে যাবে হাওরের সমস্ত কৃষক খাদ্যের সংকটে ভোগবে জনগণ। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অভিজিত সরকার জানান, তারা এ বিষয় নিয়ে মহাসংকটে বিরাজ করছেন কারণ বিগত দিনে হাওরে এরকম ধরনের সমস্যা কখনো হয়নি। তারা আরো জানান হাওরের পানি নিষ্কাশনের কোন ধরনের সুযোগ না থাকায় পানি হাওরে জমে রয়েছে। বর্ষার পলি পরে খাল ও নদীর গভীরতা কমে যাওয়ায় হাওরের পানির নামার কোন সুযোগ নেই তাই অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিঠামইনের পূর্ব দিকে হাওরের এমন বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে সাধারণ কৃষক থেকে শুরু করে কৃষি কর্মকর্তা সার্বক্ষণিক চিন্তিত। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর মতিউর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন পাওয়া যায়। এই অবস্থা থেকে নিরসনের জন্য নদী খনন, খাল খননের বিকল্প নেই। অচিরেই হাওরের পর্যাপ্ত পরিমাণ খাল খরনের মাধ্যমে হাওরকে এবং হাওরের আবাদি কৃষি জমি রক্ষা করা সম্ভব।