সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পটুয়াখালী জেলাধীন গলাচিপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ব্রয়লার বিস্ফোরণে কারখানায় আগুনের ঘটনায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ জনে শ্যামনগর থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ২৪শের ছাত্র-জনতা ছাড়া অন্য কারো প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা নেই, উপদেষ্টা ফওজুল কবীর খান চরের হোগলা পাতার দড়িতে স্বপ্ন বোনেন নারীরা মিঠামইন হাওরে ৫০ একর বোরো জমিতে সমালয় চাষাবাদ অষ্টগ্রামে পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাচনে সভাপতি জাকির হোসেন মুকুল ও সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ঔষধ প্রশাসনের মতবিনিময় সভা বিজয় দিবসে শহীদ স্মৃতি ফলকে চরফ্যাশন বিএনপির শ্রদ্ধা ও র্্যালি জামায়াতে ইসলামী নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ১৬ই ডিসেম্বর ২০২৪ইং (মহান বিজয় দিবস) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

বিএনপি কৃষক বান্ধব —–ভিপি ইব্রাহিম

  • আপডেট সময় : শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৩৩ বার পঠিত

অরবিন্দ রায়
স্টাফ রিপোর্টারঃ-

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিম বলেছেন,
বিএনপি সরকার কৃষক বান্ধব সরকার।
দিনে দিনে আমাদের দেশে কৃষি জমির পরিমাণ কমেছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে খাদ্যের চাহিদা বেড়েছে। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করে কৃষকের উন্নয়ন করতে হবে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে কৃষিখাতে উৎপাদন বাড়াতে হবে। নিত্যপন্যের শুল্ক কমিয়ে দিতে হবে।
বিএনপি সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। কৃষক ও কৃষির উন্নয়নের জন্য ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিয়ে বিএনপিকে জয়যুক্ত করুন। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন অর্জন করতে হবে।
কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা হবে । শিক্ষিত তরুনরা এখন কৃষিকাজের সাথে যুক্ত হচ্ছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি কৃষিকে রূপান্তর করতে হবে। এক সময় লাঙ্গল জোয়ান আর হালের বলদই ছিল কৃষকদের মূল উপকরণ। সেই জায়গা এখন দখল করেছে ট্রাক্টর।কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে।
বাংলাদেশ ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে কৃষির বিকল্প নেই। বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেকাংশে কৃষির উপর নির্ভরশীল। দেশে জনসংখ্যা বাড়ছে কিন্তু কৃষি জমির পরিমাণ কমে গেছে। কৃষকদের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষকদের সমাবেশ সফল করা প্রস্তুতি নিয়েছে। কৃষকদের মধ্যে গুণগত মানসম্পন্ন ফসলের বীজ সরবাহ করতে হবে। ভালো বীজ বপন করলে কৃষক ভালো ফসল পাবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের কৃষি নির্ভর দেশ। কৃষিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। কৃষকদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে বিএনপি নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যে কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, রোদে পোড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, ফসল ফলায় সেই সব কৃষকরা আওয়ামিলীগ সরকারের সময় অবহেলিত হয়েছিল। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষকদের জীবন মান উন্নয়ন করা হবে। কৃষকদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বিতরণ কাজে নিয়োজিত ছিল কিছু অসাধু ব্যক্তি, স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা, কর্মীরা। আওয়ামীলীগ সরকার অকৃষকদের স্বজন প্রীতির মাধ্যমে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন। ফলে প্রকৃত কৃষকরা সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষকদের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা দিয়ে কৃষকদের উন্নয়নে কাজ করবে।

নরসিংদী জেলা জাতীয়বাদী কৃষক দলের উদ্যোগে ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষকদলের সমাবেশ সফল করার প্রস্তুতিমূলক সভায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ – সভাপতি ও ঢাকা বিভাগীয় আহ্বায়ক আ ন ম খলিলুর রহমান ভিপি ইব্রাহিম প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।
নরসিংদী জেলার সদর উপজেলা, শিবপুর উপজেলা,পলাশ উপজেলা, মনোহরদী উপজেলা ও বেলাব উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতৃবৃন্দ উপস্হিত ছিলেন। প্রতিটি ইউনিয়নের কৃষকদলের প্রস্তুতি সভা সফল ভাবে সম্পন্ন করার আহ্বান জানানো হয়। প্রান্তিক কৃষকরা প্রস্তুতি সভায় কৃষকরা তাদের কৃষি কাজে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন ধরেন।

নরসিংদী জেলা বিএনপির কার্যালয়ে শনিবার বিকেলে নরসিংদী জেলা কৃষকদলের আহবায়ক মো.শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,
বিশেষ অতিথি হিসেবে জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ফেরদৌস পাটোয়ারী, প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক দিপু হায়দার খান, কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ন সম্পাদক কৃষিবিদ শাহাদাৎ হোসেন বিপ্লব, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এড্ সাদেকুল ইসলাম ভূইয়া , মো আরিফ মোস্তফা, সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. মাসুদ রানা, দপ্তর সম্পাদকভিপি শফিকুল ইসলাম,সহ ক্রীয়া বিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া বাবুল প্রথুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নরসিংদী জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব দীপক কুমার বর্মন।

Facebook Comments Box
এই জাতীয় আরও খবর

ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডি দিবস অরবিন্দ রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ আজ ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশাল ট্র্যজেডি দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে নরসিংদীর ঘোড়াশালে আটিয়াগাঁও গ্রামে একই বাড়িতে শিশুসহ ১৮ নর-নারীকে হত্যা করা হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় গ্রামের সকল ঘর-বাড়ি। নির্মম হত্যাযজ্ঞে গ্রামের শিশুসহ প্রায় ২৫ থেকে ৩০জন নারী পুরুষকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানীরা। এই দিনটি আসলে এলাকার মানুষ আজও আৎকে উঠে সেই ভয়াবহ দিনটিকে স্মরণ করে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোন সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের ৯ দিন পূর্বে দেশজুড়ে যখন কোণঠাসা পশ্চিমা হানাদার বাহিনী। ঠিক সেই মুহূর্তে ঘোড়াশালে কয়েকটি খণ্ডযুদ্ধ হয় পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিকামী বাঙালীর। বিজয়ের কাছাকাছি সময়ে পাকিস্তানীরা ফিরে যাওয়ার সময় ৬ ডিসেম্বর ঘোড়াশালের আটিয়াগাঁও গ্রামে প্রবেশ করে। গ্রামে প্রবেশ করেই পাকিস্তানিরা আবুল কাসেমের বাড়িতে হত্যাকাণ্ড চালায়। এসময় বাড়িতে থাকা ৪ মাসের শিশু আয়শাসহ হত্যা করা হয় মোকছেদ আলী, মালাবক্স, শাহাজাহান, রহম আলী, আঃ হেকিম, হযরত আলী, আম্বিয়া খাতুন, মজিদা, শাহাজউদ্দিন, নেহাজউদ্দিন ও নেজু সহ প্রায় ১৮ নর-নারীকে। জ্বালিয়ে দেয়া হয় বাড়িঘর। এভাবে শুধুমাত্র আটিয়াগাঁও গ্রামেই ২৫ থেকে ৩০ নারী-পুরুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গুলিতে আহত হয় আরো প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন। হত্যাযজ্ঞের পরের দিনে তাদের অনেককেই গণকবর হিসেবে মাটি দেয়া হয়। সেই গণকবরগুলো আজ অরক্ষিত ঝোপঝাড়ে পরিণত। সরকারের পক্ষ থেকে নেই কোন উদ্যোগ। শহীদ পরিবারের খাতায়ও তাদের নাম আছে কিনা কেউ জানে না। যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সহায়তায় শহীদের প্রতি পরিবারের জন্য দেয়া দুই হাজার করে টাকা দেয়া ছাড়া তাদের ভাগ্যে কিছুই জোটেনি । সরকারের পক্ষ থেকে আটিয়াগাঁও এলাকার শহীদ হযরত আলীর ছেলে মো: হাবিবুল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনীরা আমার বাবা, দাদী ও ফফুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে মা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়ে আমাদের নি:স্ব করে দেয়া হয়েছিল। আমাদের চলার মতো তেমন কিছুই ছিলনা। আশপাশের গ্রামের লোকজন আমাদের চলার পথে সহায়তা করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার আজ ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও কেউ আমাদের খবর নেয়নি।’  এছাড়া শহীদ পরিবারের তালিকায় তাদের নাম আছে কিনা তাও জানেনা তারা।  একই এলাকার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্তার বাবুল জানান, পাক বাহিনীরা এই এলাকায় প্রবেশ করে প্রথমেই আমাদের ঘরে আগুন দেয়। এসময় বাড়িতে যাকে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে। পাক বাহিনীর সদস্যরা ৪ মাসের শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তবে কয়েকজন বাড়ির পাশে গর্ত করে তাতে লুকিয়ে থেকে কোনক্রমে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থেকে রক্ষা পায়।   আরেক প্রত্যক্ষদর্শী রাহাতুন বেগম জানান, তখন অগ্রহায়ন মাস বাড়ির পাশেই ধানের কাজ করছিলেন। এমন সময় পাক বাহিনীর সদস্যরা এসে বাড়িঘরে আগুন দেয়। আর গুলি করে হত্যা করে যাকে সামনে পায়। পরে নিহতদের গণকবর দেয়া হয়। এখানে এখন ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে। এলাকার শহীদদের গণকবরস্থানে বধ্যভূমি নির্মাণের পাশাপাশি পরিবারগুলোর সহায়তায় সরকারকে পাশে দাড়ানোর দাবি জানান স্থানীয় ঘোড়াশাল পৌরসভা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর সাবেক কমান্ডার ও সাবেক স্থানীয় কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক ভূইয়া। ঘোড়াশাল ট্র্যাজেডির কথা উল্লেখ করে শহীদ পরিবারেরগুলোর স্মৃতি রক্ষার্থে একটি বধ্যভূমি নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান এলাকাবাসী। বিজয়ের ৫৩ বছর পেরিয়ে আজ এলাকাবাসীর দাবি হত্যাযজ্ঞে নিহত শহীদদের তালিকা প্রনয়ন, গণকবর তৈরী করে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ মর্যাদা দেয়া অরবিন্দ রায় ০১৯১৮৭৬৭৬৫৫